যেসব স্কুলে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বেশিরভাগই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
Published : 06 Jan 2024, 09:00 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের সহিংসতামূলক কার্যক্রম ঘটতে দেখা গেছে।
এসব সহিংসতার মধ্যে রয়েছে ট্রেন ও বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ। এসব ঘটনায় শিশুসহ অনেকেই নিহত হয়েছে। শুধু তাই নয়, কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত দেশের ১০ জেলায় ১৪টি ভোটকেন্দ্রে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে।
যেসব স্কুলে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বেশিরভাগই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এই স্কুলগুলো নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার কথা। ভোটকেন্দ্র ভেবে অন্য স্কুলেও আগুন দেওয়ার কথা শোনা গেছে।
এটা স্পষ্টত বোঝা যায় যে, নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করেই কোনো মহল স্কুলে আগুন লাগানোর মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে। অথচ স্কুল তো কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নয়।
স্কুল শিশুদের শিক্ষালাভের প্রতিষ্ঠান। একসঙ্গে এতগুলো স্কুল আগুন পুড়ে যাওয়ার ঘটনা শিশুদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটাবে এবং আমাদের সমাজের উপর এর প্রভাব পড়বে।
আমি চাই, স্কুল যেন রাজনৈতিক অস্থিরতার বলি না হোক। স্কুলকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে চিন্তা করে ক্ষতিসাধন যেন কেউ না করে। স্কুল শিশুদের বিদ্যা অর্জনের বাগান। এই বাগানের ক্ষতি আর যেন কেউ না করে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: রংপুর।