স্কুলের পড়ালেখার গুরুত্ব মোটেও কম নয়। তবে অনেকেই আছেন যারা স্কুলজীবনে সফল না হলেও সফলভাবেই নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়।
Published : 15 Jul 2015, 01:48 PM
আর তাদের মধ্যে একজন হলেন জন ডি রকফেলার। হাইস্কুলের চৌকাঠ পার হবার দুই মাস আগে নিজের স্কুল জীবনের সমাপ্তি টানেন তিনি।
ইতিহাসের সর্বপ্রথম এই বিলিওনিয়ার পরবর্তীতে ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিা করেন 'স্ট্যান্ডার্ড ওয়েল কোম্পানি' নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
ধন-দৌলতের অভাব ছিলনা বিখ্যাত এ ব্যবসায়ীর। ধন-দৌলত বিলিয়েই কাটিয়েছেন জীবনের শেষ ৪০ বছর।
মজার ব্যাপার হলো রকফেলার নিজে হাইস্কুল পার হতে না পারলেও, অনেককেই শিক্ষার ক্ষেত্রে বেশ সহায়তা করেছেন।
কেএফসির নাম আমরা কে না শুনেছি! এই কেএফসির প্রতিষ্ঠাতা কোলোনেল স্যান্ডারসও ছিটকে পড়েন স্কুল থেকে। বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরেন মা।
১৯১৮ সালের কথা। হাই স্কুল পড়ুয়া ওয়াল্ট ডিজনি শিকাগোতে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে নাইট কোর্স করতেন। ডিজনির বয়স তখন ১৬। আর এই বয়সেই এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ছাড়েন স্কুলের পথ। সেনাবাহিনীতে কাজ করার ইচ্ছে থাকলেও বয়সের কারণে তা থেকে বাদ পড়েন। পরে রেড ক্রসে যোগদান করেন তিনি।
কৌতুক অভিনেতা জন বার্নস পড়েছেন চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত। বাবার মৃত্যুর পরপরই স্কুল ছেড়ে দেন তিনি। শুরু করেন জুতো পলিশ আর খবরের কাগজ বিক্রির কাজ।
একটা সময় কাজ করেন ক্যান্ডির দোকানে। সেই দোকানের এক সহকর্মীর মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কাজ করেন।
তারপর বার্নস তার নতুন সাথি হিসেবে বেছে নেন গ্রেসি অ্যালেনকে। পরবর্তীতে গ্রেসি অ্যালেনকে বিয়েও করেন তিনি। বিভিন্ন ধরণের বিনোদনমূলক বা বিচিত্রানুষ্ঠানে প্রায় দেখা মিলত এ জুটির।