বন্ধু ছাড়া জীবন চলতে পারে সেটা আমার ধারণার বাইরে। যারা শহরে বড় হয় তারা তো বন্ধুকে পায় শুধু স্কুলের সময়েই। কিন্তু আমি বন্ধুকে পেয়েছি স্কুলে, খেলার মাঠে এমনকি গ্রামকে গ্রাম ঘুরে বেড়ানোর সাথী হিসেবে।
Published : 02 Aug 2015, 12:38 PM
অনেক সময় প্রয়োজনে বন্ধুর কাছ থেকে আলাদা হতে হয়। কিন্তু এটা যে কী যন্ত্রণা সেটা যার বন্ধু হারায় সেই বোঝে।
স্কুল শেষ করার পরেই আমরা একেক জন একেক কলেজে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু আমি তাদের খুব মিস করি। বন্ধুর সাথে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো, মেলায় যাওয়া, পিকনিক করা এমনকি ঝগড়া করাটাকেও মিস করি আমি।
সুখে দুখে সব সময় বন্ধুকে পাশে পেয়েছি সব সময়। আমি যখন এসএসসিতে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করে জিপিএ-পাঁচ পাই তখন আমার বন্ধু নিজে জিপিএ-পাঁচ না পেয়েও আমাকে কোলে তুলে নেচেছে। এসব ভোলা যায় না।
অনেকেই আছে যারা লেখাপড়ার জন্য বাবা মা ছাড়া বাইরে থাকে। তাদের সুখে দুখে বন্ধুই একমাত্র ভরসা। বাবা-মার কাছ থেকে দূরে থাকলে, তাদের জন্য মন খারাপ থাকলে বন্ধুরাই তা ভুলিয়ে দেয়। অসুখ হলে ঘুম নষ্ট করে তারাই রাত জেগে বসে থাকে, সেবা করে।
দিন দিন আমাদের জীবনে বন্ধুর গুরুত্ব বাড়ছে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আলাদা করে একটু ভালবাসতে বিশ্ব বন্ধু দিবস পালন করা হয়।
দিবসটি পালনে ভিন্ন ভিন্ন কথা প্রচলিত আছে।
১৯৫৮ সালে দক্ষিণ আমেরিকার প্যারাগুয়েতে প্রথম বন্ধু দিবস পালন শুরু হয়।
আবার ধারণা করা হয়, ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এই দিন উদযাপন শুরু হয়। পরে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যায়। বন্ধু দিবসে বন্ধুদের ফুল, কার্ড, রিস্ট ব্যান্ড ইত্যাদি উপহার দিয়ে বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা জানানো হয়।
১৯৫৮ সালের ৩০ জুলাই প্রথম ফ্রেন্ডশিপ ডে উদযাপিত হওয়ার পর ‘জেনারেল অ্যাসেম্বলি অফ দ্য ইউনাইটেড নেশন’ ২০১১ সালের ৩০ জুলাইকে আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
এছাড়া ধারণা করা হয়, ১৯১৯ সালে হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হল দিবসটি উদযাপনের প্রস্তাব দেন।
তখন অগস্টের প্রথম রোববার সবাই বন্ধুদের কার্ড এবং উপহার পাঠিয়ে এই দিবস উদযাপন করতো বলেই ধারণা অনেকের।