সবাই জানে ধূমপান করলে দেহের ক্ষতি হয়। কিন্তু তা জেনেও মানুষ যেখানে সেখানে ধূমপান করে। একটি গবেষণায় জানা গেছে শিশুকিশোররাও এখন প্রতি দশ জনে একজন ধূমপায়ী।
Published : 20 Dec 2014, 11:44 AM
শুধু ধূমপানই নয়, এরা নানা রকমের নেশাও করে। এতে যেমন তাদের দেহের ক্ষতি হচ্ছে তেমনই পরিবেশের অন্য মানুষের দেহেরও ক্ষতি হচ্ছে।
সিগারেটের প্রতিটি প্যাকেটেও লেখা রয়েছে যে 'ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর', 'ধূমপানের কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষতি হয়', 'ধূমপান মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়', 'ধূমপান হৃদরোগের কারণ', 'ধূমপান ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়', এসব সতর্কতা সত্ত্বেও ধূমপানের হার বেড়েই চলেছে।
প্রতিটি সাধারণ জায়গায় লেখা থাকে যে ‘ধূমপান মুক্ত এলাকা’। কিন্তু সবাই তা খেয়াল করেও যেখানে সেখানে ধূমপান করে।
আজকাল শিশুরাও ধূমপানের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। বিদ্যালয় থেকে বের হয়েই দোকান থেকে বিড়ি বা সিগারেট কিনে তা টানতে টানতে বাড়ির পথে হাঁটা দেয়। স্কুলের বাহিরে কেউ কিছু বলবে না এই ভেবে তারা ধূমপান করে। এর ফলে অধূমপায়ী ছাত্রদের ওপরেও খারাপ প্রভাব পড়ছে।
ধূমপান এর কুফল গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ক্যানসার এবং শ্বাসকষ্ট। আজকাল এসব রোগের আক্রমণ অনেক বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে মানুষের মৃত্যুসংখ্যাও অনেক বেড়ে গিয়েছে। ধূমপান এর ফলে ফুসফুসে, শ্বাসনালিতে নানা রোগ আক্রমণ করে। ধূমপায়ী বাবা-মার সন্তানেরাও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তবে আজকাল ধূমপান রোধের জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যেমন, টিভিতে প্রচার, নানা স্থানে ধূমপান রোধের পোস্টার লাগানো, ধূমপান রোধের জন্য নানা সংগঠন তৈরি ইত্যাদি। ধূমপায়ীদের অনেকের পরিবারে একথা জানে আবার অনেকের পরিবারে তা জানে না। যাদের পরিবারে একথা জানে না তারা একথা জানার ও চেষ্টাও করে না যে তাদের ছেলেমেয়েরা বাহিরে কি করছে। এর ফলে তারা আরো ছাড় পাচ্ছে।
এই ধূমপান রোধের জন্য সবার আগে আমাদের নিজেদের বদলাতে হবে।