আমরাই আমাদের সহায়

যে শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ তাদের বিকাশ যদি অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়, তাহলে কীভাবে দেশের উন্নতি সম্ভব?

মনে হয়, সেটা কখনো  সম্ভব নয়। আমাদের দেশের জনসংখ্যার পঁয়তাল্লিশ ভাগ শিশু। আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এদেরই উপর। তাই আমরা এ বিষয়টি এতো সহজে এড়িয়ে যেতে পারি না।

আশেপাশে চোখ মেললেই চোখে পড়বে ফুলের মতো সুন্দর, সূর্যের কিরণে মতো উজ্জ্বল, ঝর্ণার মতো চির চঞ্চল শিশু। যাদের মাঝে লুকিয়ে রয়েছে অনন্ত প্রতিভা এবং অনাবিল খুশির ছোঁয়া। যাদের সামনে বিস্তৃত অনন্ত আলোকিত পথ। কিন্তু সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান বা অনুপ্রেরণা ক-জনই বা পায়?
যেখানে কমলমতি  এ শিশুদের হাতে থাকার কথা রংবেরঙের ছড়ার বই, পেন্সিল। যার মধ্য দিয়ে তারা পাবে  সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম নির্দেশনা। শুরু করবে মনের রঙে চারিদিক রাঙিয়ে দিতে। কিন্তু সেখানেও আজ শিশুরা শিকার অর্থনৈতিক শোষণের। পেন্সিলের বদলে তারা হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে  হাতুড়ি । কেউ হয়ত পেটের দায়ে অথবা পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় কোনো দোকান, হোটেল বা ইটের ভাটায়। কেউ হয়তো বা রাস্তার পাশে পড়ে থাকে দুবেলা খাবারের অভাবে।
আমাদের শহরে অনেকের দৃষ্টির অগোচরে অযত্নে অবহেলায় এভাবেই ছড়িয়ে রয়েছে এরা। কেউ কি দেখে না তাদের ? নাকি দেখেও বন্ধ করে রাখে চোখ।

জেগে ওঠো শিশুরা ! আজ আমারাই পারি তাদের পাশে দাঁড়িয়ে, হাতে হাত রেখে বিশ্বটাকে বদলে দিতে।।