নারী দিবস মূলত পালন করা হয় নারীর অধিকার সম্পর্কে সচেতন ও অধিকার নিশ্চিত করার জন্য, কিন্তু দিন শেষে প্রশ্ন রয়ে যায়- নারী কতটুকু অধিকার পাচ্ছে?
Published : 08 Mar 2022, 04:49 PM
দেশে নারী শিক্ষার হার বাড়ছে ঠিকই কিন্তু এমন অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী আছেন যাদের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি। তারা নিজেদের অধিকার সম্পর্কেও অজ্ঞ।
আবার অনেক নারী শিক্ষা গ্রহণের পরও পরিবার ও সমাজের কড়া বিধিনিষেধে নিজের পছন্দের পেশায় যেতে পারছেন না।
বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীর সংখ্যা বাড়ছে এটা আশার কথা। কিন্তু আমাদের এদিকেও খেয়াল রাখতে হবে যে, এক শ্রেণির নারী তাদের অধিকার হারা হচ্ছে। গ্রামীণ নারীদেরও মুক্তি দরকার। শহর পর্যায়ের নারী দিবসের আয়োজন সবখানে পৌঁছে দিতে হবে।
প্রত্যেক নারীর রয়েছে স্বাধীনভাবে তার জীবনধারণের অধিকার। এটা বোঝাতে আরও প্রচার-প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন।
আমরা হয়ত বছরের এই একটা দিনই নারীর অধিকার ও তাদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করে থাকি কিন্তু আমাদের এটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে সারা বছরই যেন নারীর অধিকার থাকে অক্ষুন্ন। আপন মনে যেন নারী উঠতে পারে স্বপ্নের সর্বোচ্চ সীমানায়।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে নারীরা শিক্ষার আলো পায়। তার পথ ধরে আমরা যেন আরও এগিয়ে যেতে পারি। প্রত্যেক নারী যেন পায় তার স্বাধীনতা, পায় তার অধিকার। নারী দিবস উদযাপন যেন সফল হয়।
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর অধিকার রক্ষায় এবং বিশ্বব্যাপী সমতাভিত্তিক সমাজ রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে প্রতিবছরই বিশ্বব্যাপী পালিত হয় এ দিনটি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিনটি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।