সকাল সকাল মামার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরলাম আমি আর আমার ছোট ভাই মাহিনুর জামান। আমাদের যাত্রা নাটোরের উত্তরা গণভবনের উদ্দেশ্যে।
Published : 13 Mar 2021, 06:17 PM
দুপুর ৩টা নাগাদ আমরা পৌঁছে গেলাম উত্তরা গণভবন। নাটোরের আগেও অনেকবার এসেছি। কিন্তু এই প্রথম আসলাম উত্তরা গণভবন।
উত্তরা গণভবন বা দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি বাংলাদেশের নাটোর শহরে অবস্থিত। এক কালে দিঘাপাতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান এবং বর্তমান উত্তরা গণভবন বা উত্তরাঞ্চলের গভর্মেন্ট হাউস। চারিদিকে মনোরম লেক, সুউচ্চ প্রাচীর পরিবেষ্টিত ছোট বড় ১২টি কারুকার্যখচিত ও দৃষ্টিনন্দন ভবন নিয়ে উত্তরা গণভবন ৪১.৫১ একর জমির উপর অবস্থিত।
নাটোরের রাণী ভবানী তার নায়েব দয়ারামের উপরে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দিঘাপতিয়া পরগনা উপহার দেন। ১৯৪৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করার পর ১৯৫২ সালে দিঘাপতিয়ার শেষ রাজা প্রতিভা নাথ রায় সপরিবারে রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করে কলকাতায় চলে যান।
পরবর্তীতে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত রাজ প্রাসাদটি পরিত্যক্ত থাকে। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসে এবং সরকারি ভবন হিসেবে সংস্কার হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এটিকে উত্তরা গণভবন হিসেবে ঘোষণা দেন।
বিকাল ৫টার আগেই আমরা বের হয়ে গেলাম। আমি আর আমার ভাইয়ের জন্য এই স্থাপত্য ছিল অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ।
সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২০ টাকা মূল্যের টিকেট ক্রয় করে গণভবনের আঙিনায় প্রবেশ করা যায়।