বৈষ্ণব ধর্মালম্বীদের অন্যতম তীর্থস্থান বিথঙ্গল আখড়া হতে পারে হবিগঞ্জের একটি পর্যটন স্পট।
Published : 25 Sep 2013, 10:54 AM
বানিয়াচং উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে হাওড় পাড়ে বিতঙ্গল গ্রামে ষোড়শ শতাব্দীতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ গোস্বামী।
উপমহাদেশের বিভিন্ন তীর্থস্থান ঘুরে এসে আখড়াটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
এতে বৈষ্ণবদের জন্য ১২০ টি কক্ষ রয়েছে। এ আখড়ায় বিভিন্ন ধরণের ধর্মীয় উৎসব হয়। এর মধ্যে কার্তিকের শেষ দিনে ভোলা সংক্রান্তি উপলক্ষে কীর্তন,ফাল্গুনের পূর্ণিমা তিথিতে দোল পূর্ণিমার ৫ দিন পর পঞ্চম দোল উৎসব,চৈত্রের অষ্টমী তিথিতে আখড়া সংলগ্ন ভেড়ামোহনা নদীর ঘাটে ভক্তগণের পূণ্যস্নান ও বারুনী মেলা,আষাড় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রথযাত্রা উল্লেখযোগ্য।
আখড়ায় ২৫ মণ ওজনের শ্বেত পাথরের চৌকি,পিতলের তৈরি সিংহাসন,সুসজ্জিত রথ,রুপোর পাত্র ও সোনার মুকুট রয়েছে।
মধ্যযুগীয় স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণে নির্মিত আখড়াটি পর্যটকদের আকর্ষণ করে । কিন্তু অযত্নে অবহেলায় ধ্বংসের পথে এই আখড়া।
সরেজমীনে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সংস্কারের নামে এই আখড়ার অনন্য পুরাকীর্তিগুলো ধ্বংস করে বসানো হচ্ছে টাইলস।
সরকারি কোন পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় জেলার বাইরের মানুষদের কাছেও এর পরিচিতি বাড়ছে না।
বর্ষাকালে নৌকায় যেতে হয় বিথঙ্গল গ্রামে। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়তো এই আখড়া।