২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নেয় মঙ্গল শোভাযাত্রা৷
Published : 14 Apr 2024, 08:19 AM
"মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।"
বৈশাখকে এভাবেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
পুরোনো দিনের ব্যর্থতা আর গ্লানি মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে আসে বৈশাখ। কবিগুরুর লেখায় সেটিই প্রকাশ পায়।
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পহেলা বৈশাখের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। নতুন পোশাক পরা, খাবার তৈরি করা, প্রতিবেশিদের বাড়ি যাওয়া আর বৈশাখী মেলার রেওয়াজ বহু পুরনো।
পাকিস্তানের সেনাশাসক আইয়ুব খানের আমলে যখন বাঙালির পরিচয় নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করা হয়, তখন বাংলা বর্ষবরণ উৎসব হয়ে উঠেছিল বাঙালির আত্মপরিচয় টিকিয়ে রাখার রাজনৈতিক হাতিয়ার।
পহেলা বৈশাখকে বাঙালির প্রাণের উৎসব বলা হয়। কেননা, সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গের মানুষ এই উৎসবে মেতে ওঠে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তা ভাত খাওয়া ইত্যাদি নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয় বাংলা বছরের প্রথম দিনটি।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙালি জাতির নানা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। শুধু তাই নয়, সমাজে অবক্ষয় ও গোঁড়ামি থেকে মুক্তির আহ্বানও জানানো হয়।
২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নেয় মঙ্গল শোভাযাত্রা৷
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।