‘অনেক বাবা মনে করেন তার কন্যাকে বিয়ে দিলেই তিনি বেঁচে যাবেন। এ ধরনের একটা অবস্থা আমাদের সমাজে রয়েছে। এজন্য আমি দায়ী করব আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট ও দারিদ্র্যকে। বাবা মায়ের সচেতনতার অভাবও কিন্তু বাল্যবিয়ের জন্য অনেকাংশে দায়ী।’
Published : 02 May 2024, 03:49 PM
অভিভাবকদের অসচেতনতা ও দারিদ্র্যের কারণে বাল্যবিয়ে ঘটছে বলে মনে করেন সিলেটের বলদী আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা কামাল। হ্যালোর সঙ্গে আলাপচারিতায় বাল্যবিয়ে বন্ধে শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
হ্যালো: আধুনিক সময়ে এসেও আমরা বাল্যবিয়ের ঘটনা দেখতে পাই। বাল্যবিয়ে কেন পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে আপনি মনে করেন?
গোলাম মোস্তফা কামাল: বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক সমস্যা। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ অসচেতন ও দরিদ্র। অনেক বাবা মনে করেন তার কন্যাকে বিয়ে দিলেই তিনি বেঁচে যাবেন। এ ধরনের একটা অবস্থা আমাদের সমাজে রয়েছে। এজন্য আমি দায়ী করব আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট ও দারিদ্র্যকে। বাবা মায়ের সচেতনতার অভাবও কিন্তু বাল্যবিয়ের জন্য অনেকাংশে দায়ী।
এছাড়াও আরও কিছু সামাজিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। আমাদের সমাজে দেখা যায়, মেয়েরা বড় হলে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় যৌন হয়রানিসহ নানা রকম হয়রানির শিকার হয়। তারা তখন নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারে না। এ নিয়ে অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় থাকেন। তাই প্রত্যেক অভিভাবকই সন্তানকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে চান।
বাল্যবিয়ের জন্য আমি আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট, অসচেতনতা ও দারিদ্র্যকে দায়ী করব।
হ্যালো: আপনার মতে বাল্যবিয়ে রোধে শিক্ষকরা কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে?
গোলাম মোস্তফা কামাল: বাল্যবিয়ে রোধে শিক্ষকরা নানা ভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন। কিন্তু সমাজে শিক্ষকদের অবস্থান কোথায় সেটিও দেখতে হবে। অনেক সময় যখন স্কুল বন্ধ থাকে, আমাদের অজান্তেই শিক্ষার্থীদের বিয়ে হয়ে যায়। আমরা খবরই পাই না।
শিক্ষকরা অভিভাবকদের বাল্যবিয়ে সম্পর্কে সচেতন করতে পারে। বাল্যবিয়ের কুফল ব্যাপক আকারে প্রচার করা যেতে পারে। অভিভাবকদের নিয়ে সভা সেমিনারের আয়োজন করা যায়। এই ধরনের কাজগুলোর মাধ্যমে শিক্ষকরা বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখতে পারেন।
হ্যালো: আপনাকে ধন্যবাদ।
গোলাম মোস্তফা কামাল: তোমাকেও ধন্যবাদ।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: সিলেট।