এমতাবস্থায় আমি মনে করি, শিশুদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার আরও উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।
Published : 04 Jan 2025, 08:37 PM
জলবায়ু পরিবর্তনকে গোটা পৃথিবীতেই মানবসভ্যতার জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেননা এর নেতিবাচক প্রভাব সবার উপরই পড়ে। তবে উন্নয়নশীল দেশকে সবচেয়ে বেশি হিমসিম খেতে হয়।
আমাদের দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যতটা না দায়ী তত বেশি ভুক্তভোগী। দেশে যে কোনো বিপদ কিংবা সংকট হলে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়। সংগত কারণে দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা নারী ও শিশুর উপরেই বেশি লাগছে।
অসময়ে বন্যা, নদী ভাঙন, তীব্র গরম কিংবা প্রচণ্ড শীতের মতো বিরুপ পরিস্থিতির পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের দায় আছে। এই সমস্যাগুলো শিশুদের জীবনকে কঠিন করে তোলে।
আমি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় থাকি। এখানে বন্যা হলে রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। অনেক সময় স্কুলও বন্ধ হয়ে যায়। এতে তারা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে শিশুরা।
আবার চর এলাকায় নদী ভাঙনের ফলে অনেক পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। এর ফলে শিশুরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় এবং মানসিকভাবেও ভীষণ কষ্ট পায়।
এমতাবস্থায় আমি মনে করি, শিশুদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার আরও উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। বন্যা ও নদী ভাঙনের সময় যাতে শিশুরা সহজে স্কুলে যেতে পারে সেই বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে।
শিশুরা যেন নিরাপদে পড়াশোনা করতে পারে এবং সুন্দরভাবে বড় হতে পারে, এটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে অবশ্যই আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারব।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: সিরাজগঞ্জ।