‘এই চিকিৎসকের মতে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এটি একজন শিশুর সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠার সুযোগকে নষ্ট করে দেয়।’
Published : 25 Apr 2024, 06:25 PM
বাল্যবিয়েতে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম ও বিশ্বে অষ্টম। গেল বছর জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের এক জরিপে এই তথ্য উঠে আসে।
বিয়েতে কিশোরীর নানাবিধ স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে মেয়ে শিশুরা বিয়ের শিকার হয়।
শিশুবিয়েতে একজন কিশোরীর কী কী স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকে, তা জানতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হৃদরোগ বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক দেবশ্রী পালের সঙ্গে কথা বলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
এই চিকিৎসকের মতে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এটি একজন শিশুর সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠার সুযোগকে নষ্ট করে দেয়।
তিনি বলেন, “বাল্যবিয়ের শিকার একটি শিশু যখন গর্ভ ধারণ করে তখন তাকে নানা জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়।”
ডা. দেবশ্রী পাল বলেন, “অল্প বয়সে গর্ভধারণের কারণে অনেক সময় মায়েরা রক্ত শূন্যতা ও অপুষ্টিতে ভোগে। ফলে তারা যে সন্তান জন্ম দেন, সে সন্তানও অপরিপক্ব থাকে।
“যার কারণে গর্ভের শিশু প্রতিবন্ধীও হতে পারে।”
বাংলাদেশে সন্তান জন্মদানকালে মায়ের মৃত্যু বা নবজাতকের মৃত্যুর পেছনের অন্যতম কারণ হিসেবে বাল্যবিয়ে বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।
সমাজের প্রতি প্রশ্ন রেখে ডা. দেবশ্রী পাল বলেন “একটি শিশু একটি দেশের সম্পদ। আমরা বাল্যবিয়ে দিয়ে কেন তাকে বোঝা বানাব?
“বরং লেখা-পড়া শিখিয়ে আমরা তাকে দেশের সম্পদে পরিনত করব।”
তিনি আরও বলেন, “একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি মনে করি, শিশু বয়সে বিয়ে না করা একটি শিশুর মৌলিক অধিকার হওয়া উচিৎ।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা।