তৃতীয়ত, নারীদের জন্য উদ্যোক্তা কর্মসূচি তৈরি করা জরুরি, যাতে তারা ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করে স্বাধীন জীবনযাপন করতে পারে।
Published : 25 Nov 2024, 08:05 PM
গ্রামের বাড়িতে গত বছর এক আত্মীয়ের বিয়ের দাওয়াতে অংশগ্রহণ করেছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি কনের বয়স মাত্র ১৫ বছর। যেখানে বরের বয়স কনের চাইতে ১০ বছর বেশি।
আমি ভাবছিলাম, মেয়েটি হয়ত সমাজের মতোই ভেবে নিয়েছে নারী হয়ে জন্মানো মানেই সংসার আর সন্তান পালনে সীমাবদ্ধ জীবনকে বেছে নেওয়া।
বাল্যবিয়ের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে আমার কাছে পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা ও অসচেতনতার অভাবকেই মনে হয়। অধিকাংশ পরিবার মেয়ের ভরণপোষণের দায়ভার এড়ানোর জন্য মেয়ে অল্প বয়সে বিয়ে দেয়।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদী এবং বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। প্রথমত, মেয়েদের শিক্ষায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলকে আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে। দ্বিতীয়ত, নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হবে। বিশেষ কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করবে এবং এটি তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়াবে বলে আমি মনে করি।
তৃতীয়ত, নারীদের জন্য উদ্যোক্তা কর্মসূচি তৈরি করা জরুরি, যাতে তারা ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করে স্বাধীন জীবনযাপন করতে পারে। এসব উদ্যোগ বাল্যবিয়ে বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাল্যবিয়ে আমাদের দেশে বড় একটি সামাজিক সমস্যা, যা লিঙ্গ বৈষম্য তৈরি করে এবং নারীর উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। যদি আমরা এটি বন্ধ করতে পারি এবং নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারি, তবে আমরা লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে পারব।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রতিটি মেয়ে সমান অধিকার ও সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। সমাজের এই মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারলে আমরা মেয়েরা লক্ষ্য পূরণে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারব।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।