আমার আম্মুই আমার সবচেয়ে কাছের এবং প্রিয় বন্ধু।
Published : 03 Aug 2022, 07:46 PM
আমার জীবনে অনেক খুশির মুহুর্ত এসেছে। তার মধ্যে একটি দিন আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
যেদিন আমি আবৃত্তিতে জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় হই সেদিনের কথা বলছি। কারো কারো মনে হতে পারে এটা এমন কী ব্যাপার? কিন্তু সত্যি বলতে আমার কাছে এটা ছিল স্বপ্নের মতো!
পড়াশোনার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি। নাচ, গান, আবৃত্তি আমার পছন্দের বিষয়। নাচ ও গানে বেশ ভালো হলেও আবৃত্তি কখনো খুব একটা ভালো হতো না।
স্কুলে যখন আমি ও আমার বান্ধবী আবৃত্তিতে নাম দিতাম, তখন দেখা যেত হয়তো আমি নির্বাচিত হতাম না। আমার বান্ধবীই বারবার ভালো করত। কারণ ও খুব ভালো আবৃত্তি পারত। আমি কাউকে কিছু বলতে না পারলেও আমার বেশ মন খারাপ হতো। মনে হতো সত্যিই আমি কিছুই পারি না।
ধীরে ধীরে আবৃত্তিটার দিকে মন দিলাম, শেখা শুরু করলাম। তারপরে বেশ কিছু প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করি। কিন্তু এমনও হয়েছে যে প্রতিযোগিতায় নাম দিয়েও ভয়ে আবৃত্তি করতে পারতাম না। সত্যিই তখন খুব কষ্ট হতো।
এরপর শুধু আবৃত্তিই শিখেছি। এক সময় জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করি। আর সেই প্রতিযোগিতাতেই আমি দ্বিতীয় হই। সেদিন আমি সত্যিই খুব খুশি ছিলাম। কারণ অনেক চড়াই উৎরাই পার হওয়ার পর আমি এই পুরস্কারটা পাই ।
আমার এই আবৃত্তির পাশাপাশি অন্যান্য সকল কিছুর পেছনে একটা মানুষের অবদানের কথা না বললেই নয়। তিনি হলেন আমার আম্মু। আমার সব থেকে কাছের বন্ধু। আমাকে সকল বিষয়ে বরাবরই তিনি উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। আমার সকল ক্ষেত্রেই যতটুকু আমি এগিয়েছি, সব কিছুর পেছনে এই মানুষটার অবদান অপরিসীম। আমার আম্মুই আমার সবচেয়ে কাছের এবং প্রিয় বন্ধু।
প্রতিবেদকের বয়স ১৪। জেলা: খুলনা।