করোনাভাইরাস মহামারি পার হয়ে আবারো চিরচেনা রূপে এসেছিল ঈদ।
Published : 17 May 2022, 04:23 PM
কোনো বিধিনিষেধ ছাড়াই মসজিদে, মাঠে হয়েছে ঈদের জামাত। সকল বয়সী মানুষেরা একে অপরের সাথে করেছে কোলাকুলী, শুভেচ্ছা বিনিময়। কোথাও কোথাও ঈদ উপলক্ষে মেলাও বসেছিল। সেখানে ভিড় করছে ছোট বড় সবাই।
এবার বহুল আলোচিত তেতুঁলতলা খেলার মাঠে উত্তর ধানমণ্ডি জামে মসজিদ কমিটির আয়োজনে হয়েছে ঈদের নামাজ।
হ্যালোর সঙ্গে সে মাঠে কথা হয় ঈদের নামাজ পড়তে আসা মোহম্মদ জিহাদের। মাঠের কাছেই তার বাসা। সে জানায়, কোনো বিধি নিষেধ ছাড়া এখানে নামাজ পড়তে এসে তার ভালো লাগছে। সে প্রতি বছর এখানে নামাজ পড়তে চায়।
হ্যালোর কাছে একই রকম অনুভূতির কথা জানায় আরো দুই শিশু আশিক আর দিপ্ত।
ঈদ উপলক্ষে ধানমণ্ডি লেক ঘিরে পার্কে বাহারি পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছিল ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। অনেক মানুষের আগমনে সেটাই হয়ে ওঠে একটা মেলা।
সেখানেই কথা হয় মজনু নামে এক পথশিশুর সঙ্গে। সে ঘুরে ঘুরে নানান কিছু দেখছিল। কিন্তু কেনার সামর্থ্য নেই বলে তার কিছুটা মন খারাপ বলে সে হ্যালোকে জানায়।
সেখানেই হ্যালোর সাথে কথা হয় শ্রমজীবী শিশু মোহম্মদ আরিফুল ইসলামের সাথে। পানি বিক্রি করে সে সংসারে টাকার যোগান দেয়। তাই ঈদের দিনেও অবসর নেই তার। এই দিনে বিক্রি বেশি হয় বলে নামাজ শেষেই সে পার্কে চলে এসেছে পানি বিক্রি করতে।
বছর ঘুরে আবারও আসবে ঈদ। সবার জীবনই হবে আনন্দময়, মজনু, জিহাদ, আরিফদের চাওয়া পূর্ণ হবে, এটাই প্রত্যাশা।