বাংলাদেশের একমাত্র ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। এটি বঙ্গোপসাগর উপকূলে অবস্থিত।
Published : 09 May 2024, 03:20 PM
ছোটবেলা থেকেই জেনে এসেছি অনেক মানুষের জীবিকার উৎস এই সুন্দরবন। কেউ মধু সংগ্রহ করে, কেউ সুন্দরবনের জলাশয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। তবুও এই সুন্দরবনের প্রতি এত অবহেলা কেন?
ঘূর্ণিঝড়ের মতো ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সুন্দরবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
যখনই খবরে দেখি ঘূর্ণিঝড় আসছে, ভয়ের মাঝেও একটা ভরসা থাকে যে আমাদের সুন্দরবন আছে। হয়ত সুন্দরবনের আশেপাশের অঞ্চলগুলো ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত থেকে বেঁচে যাবে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় হলে তা বেশ ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলো যদি সরাসরি আঘাত হানে তাহলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে তা কল্পনা করতে চাই না।
এই বন না থাকলে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসে হতাহতের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে যেতে পারে বহু মানুষ।
যে মৌয়াল, কাঠুরিয়া, জেলে সুন্দরবনের উপর নির্ভর করে জীবন চালায় তারাও হয়তো জীবিকার উৎস হারিয়ে ঢাকার কোনো বস্তিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে। এতে জলবায়ু শরণার্থীর সংখ্যাও বেড়ে যাবে।
এই শনিবারেও সুন্দরবনের তিন একর জায়গা আগুনে পুড়েছে। স্থানীয় পরিবেশ কর্মীদের বরাত দিয়ে ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদন বলছে, গত দুই দশকে সুন্দরবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে ২৬বার। প্রায় প্রতিবছরই আগুন লাগে সেখানে, পুড়ে যায় শত শত গাছ।
এসব দুর্ঘটনায় অনেক ক্ষতি হয়। প্রথমত গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, গাছ পুড়ে যাওয়া মানে অক্সিজেনের উৎস কমে যাওয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। এতে গ্রিন হাউজ ইফেক্ট তৈরি হচ্ছে, বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা।
এই তো কদিন আগেই, ঢাকাহ আরও কয়েকটি জেলায় বয়ে গেল তাপপ্রবাহ। গরমের মধ্যে মৃত্যুও হলো অনেকের। এসব তো সেই বৈশ্বিক উষ্ণায়নেরই ফল।
তাই আমি মনে করি, আমাদের নিজেদের জন্য সুন্দরবনের যত্ন নেওয়া উচিত। সকল মানবসৃষ্ট দুর্ঘটনা থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।