শব্দের দূষণ এতই প্রকট হচ্ছে যে, এটা কল্পনাতেই আসলেই মানসিক চাপ অনুভূত হয় আমার।
Published : 28 Apr 2022, 01:38 PM
শব্দ আমাদের কানে শোনার অনুভূতি তৈরি করে। কিন্তু এই শব্দই যখন হয়ে ওঠে অসহনীয় তখনই তা দূষণে পরিণত হয়।
সংগীতের সুর,বাঁশির সুর কিংবা পাখির শব্দ শ্রুতিমধুর। কিন্তু সেটাও যদি উচ্চস্বরে হয় তাহলে সেটাও দূষণ।
দূষণ ঘটায় মূলত যানবাহনের আওয়াজ, টেলিভিশনের উচ্চ শব্দ, কলকারখানার শব্দ, সাইরেন, মাইকসহ নানা কিছু।
স্বাভাবিক দৃষ্টিতে যেটা দেখা যায়, শব্দ দূষণের কারণে শিশুদের পড়াশোনায় ব্যঘাত তৈরি হয়। শব্দ দূষণ যদি হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে তাহলে তো পাঠদানই অসম্ভব। অনেক স্কুল-কলেজই সড়কের পাশে। অযথা বাজানো যানবাহনের হর্ন নষ্ট করে পাঠদানের পরিবেশ।
আমরা অতিরিক্ত শব্দের মধ্যে কোনো কিছু নিয়ে ভাবতে পারি না বা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তাই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর জন্য নিরিবিলি পরিবেশকে বেছে নেই। কিন্তু যে পরিমাণে দূষণ বাড়ছে তাতে হয়ত নিরিবিলি পরিবেশ খুঁজে আর পাওয়া যাবে না।
গায়ে হলুদ, বিয়ে, সুন্নতে খৎনাসহ নানা আয়োজনে এখন উচ্চস্বরে মাইক বাজাতে দেখা যায়। আয়োজনকারীদের জন্য হয়ত দিনটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু পাশের বাড়ি বা পাশের এলাকার মানুষটির সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটিও ভাবা উচিত।
নবজাতক, বৃদ্ধ কিংবা অসুস্থ মানুষও থাকতে পারে যারা এই বিকট শব্দে হয়ত আরও অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেটি ভাবতে হবে আমাদের।
নির্মাণ কাজ তো এখন যেন লেগেই থাকে। টাইলস কাটা, মাটি খননসহ নানা যন্ত্রের উচ্চ শব্দ মানুষকে অতিষ্ঠ করে দেয়। নির্ধারিত সময়ের পড়েও যদি এটা চলতে থাকে তাহলে বলাই বাহুল্য যে, কতটা সমস্যা তৈরি করে এটি।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ এ বলা হয়েছে, আবাসিক এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা দিনে ৫৫ ডেসিবল এবং রাতে ৪৫ ডেসিবল। এছাড়া শিল্প এলাকায় দিনে ৭৫ ও রাতে ৭০ ডেসিবল।
কিন্তু বর্তমানে অনেক আবাসিক এলাকাতেই বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা যায়। জনজীবন অতিষ্ট বললেও হয়ত ভুল হবে না। শব্দ দূষণের ক্ষতি এড়াতে পারবে না শিশুরা।