একটি শিশুর জন্ম হয় শুধুমাত্র পরিবারের কল্যাণের জন্য নয়। সুনাগরিক হিসেবে দেশের কল্যাণ করাটাও তার দায়িত্ব।
Published : 24 Apr 2022, 03:36 PM
তবে শুধুমাত্র বাল্যবিয়ের কারণে এই দায়িত্ব পালনেই অনেক কন্যা শিশু পিছিয়ে পড়ে। এই অকাল বিয়ের জন্য না হয় পড়ালেখা না হয় প্রতিষ্ঠিত হওয়া।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাল্যবিয়ের সম্মুখীন হয় নারীরা। অথচ দেশকে এগিয়ে নিতে নারীদের ভূমিকাও কোনোভাবেই কম নয়।
যে কিশোরীর ১২ বা ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হলো সে তো বড় হয়ে দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত। কে বলতে পারে সেই হয়ত একদিন হতে পারর বিশ্ব বিখ্যাত লেখক, চলচ্চিত্র পরিচালক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক কিংবা প্রকৌশলী। কিংবা সেই হয়তো হতো বিশ্ব বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার। যার হাত ধরে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পরিচিত বাড়ত।
কিন্তু বাল্যবিয়ে হলে অঙ্কুরেই ঝরে পড়ে সমস্ত সম্ভাবনা। ছোট বয়সে সংসারের বোঝা টানতে গিয়ে অকাল মৃত্যু অয় কিশোরীর স্বপ্নগুলোর।
এই কিশোরী একদিন মা হয়। আর তার সন্তানও বাল্যবিয়ের কুফল বয়ে চলে। কারণ একজন কিশোরী মা জানে না সন্তানকে কীভাবে যত্ন করতে হয়, কীভাবে আগলে রাখতে হয়, কী খাওয়াতে হয়। সন্তানের পুষ্টি কীভাবে নিশ্চিত হবে সে ব্যাপারেও তার কোনো ধারণা থাকে না।
এছাড়া সন্তানের শিক্ষার ক্ষেত্রেও এই মায়েরা সরাসরি সাহায্য করতে পারে না। যে মা নিজেই স্কুলের গণ্ডি পার হতে পারেনি সে কীভাবে সন্তানের পড়ালেখার ব্যাপারে সাহায্য করবে।
বাল্যবিয়ে হলে শুধু একজন কিশোরীর যে ক্ষতি হয় তা নয়; ক্ষতি হয় পরিবার, সমাজ ও দেশের। তাই এই বৃহৎ ক্ষতি বন্ধে আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সবাই সচেতন হলেই কেবল বাল্যবিয়ে নির্মূল করা সম্ভব।