গত বছর থেকেই দেশব্যাপী ১২-১৭ বছর বয়সীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
Published : 14 Feb 2022, 12:13 PM
অবশেষে আমারও সুযোগ হলো মহামারি করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের। ১২ জানুয়ারি আমার স্কুল সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজে সপ্তম, নবম শ্রেণি ও এসএসসি পরিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করা হয়। আমি নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হওয়ায় টিকা গ্রহণকারীদের দলে নাম উঠে আমারও।
বেশ অপেক্ষায় ছিলাম কবে আসবে সেই সুযোগ। অবশেষে অবসান ঘটে আমার অপেক্ষার। স্কুলে গিয়ে টিকা নেওয়ার জন্য লাইন ধরি। প্রায় আধা ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারপর যে রুমে টিকা দেয়া হয় সেখানে প্রবেশ করি। সেখানে তিন জন কর্তব্যরত নার্স ছিলেন। তারা আমাদের সাথে খুবই আন্তরিক ব্যবহার করেন।
যখন আমাকে টিকা দেয়া হলো আমি একটুও টের পাইনি। কোনো ব্যথাও পাইনি। তবে রাতে ব্যথা বাড়তে থাকে এবং জ্বর আসে। এটা স্বাভাবিক বিষয়ই ছিল। আগেই শুনেছিলাম টিকা নেয়ার পর নাকি জ্বর আসে।
তাই আমার জ্বর আসাতে একটুও আতঙ্কিত হইনি। পরদিন সকালেই আমি সেরে উঠি। এরপর ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ দ্বিতীয় ডোজের টিকাও পেয়েছি।
প্রথম বার ব্যথা ও জ্বর থাকলেও এবার আর ব্যথা বা জ্বর হয়নি। আমার খুব ভালো লাগছে যে এখন স্কুল খুলে দিলে কোনো শঙ্কা ছাড়াই স্কুলে যেতে পারব।