দফায় দফায় বিধিনিষেধ আর স্বাস্থ্যবিধির বেড়াজালে নিজেকে বন্দি মনে হয়। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো দেড় বছর ধরে বন্ধ। খোলার তারিখ ঘোষণা করেও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।
Published : 03 Aug 2021, 11:28 PM
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন খোলা কখনো কখনো খোলা হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেই তালিকায় যেতে পারেনি।
আমরা শিক্ষার্থীরা যেহেতু দিনের বড় একটা অংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কাটাতাম তাই বলা যায় আমাদের জীবন এখন অবরুদ্ধ। বাইরে বের হওয়া যায় না, ব্যক্তিগত শিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়া কিংবা ঘুরতে যাওয়া সব কিছুই প্রায় বন্ধ।
এমন একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও প্রশান্তি পাই ছাদ কিংবা বারান্দায় গেলে। ছাদের গাছপালা, ফুল-ফল কিছুটা হলেও মনকে সতেজ করতে সাহায্য করে। ঘরে বসে ইন্টারনেটে সময় পার করার চেয়ে আমার কাছে এটিই বেশি আনন্দদায়ক। বাতাস, রোদ, বৃষ্টির ছোঁয়া না লাগালে মন ভার হয়ে থাকে। তাই একটু করে ছাদে যাওয়া হয় আমার।
মহামারি আমাদের বন্ধুবান্ধব থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। তাদের সাথে এক সাথে আড্ডা দেওয়া বা ঘুরতে যাওয়া তো এখন সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই সময়টা উপভোগের জন্য একটু বারান্দা বা ছাদে যাওয়াটা জরুরী বলে মনে করি আমি।
ছাদে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলেও মনে হয় মুক্ত আকাশে উড়ছি। নিজেকে তখন এতটা বন্দি আর মনে হয় না। প্রতিবেশীদের দূর থেকে একটু হলেও দেখা যায়, কথা বলা হয়। সব মিলিয়ে মন্দ কাটে না সময়টা।