(তৃতীয় পর্ব) এত কষ্ট করে যখন এতদূর এসেছি পাহাড় চূড়ায় না উঠে বাড়ি ফিরছি না। পাহাড়ের নিচ থেকে তিনটা লাঠি কিনলাম আর সাথে নিলাম পর্যাপ্ত পানি আর ওরস্যালাইন।
Published : 10 Jan 2017, 06:18 PM
তারপর যাত্রা শুরু করলাম। বলে রাখা দরকার দুপুর দিকে হওয়ায় শীতের মধ্যেও বেশ রোদ ছিল। আমরা যতই উপরে উঠি ততই ফিরে আসা মানুষের করুণ অবস্থা দেখে শংকিত হচ্ছিলাম। অন্যদিকে যাকেই জিজ্ঞাস করি সেই বলে, 'ভাই খামাখা এত উপরে উইঠেন না, উঠতে খবর হয়ে যাবে। যতটুকু উঠছেন তা কিছুই না মাত্র ১০ ভাগ আসছেন।'
এতটুকু উঠেই আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। যাত্রা পথে দেখলাম একটা ঝর্ণা। ঝর্ণাটা দেখে বেশ স্বস্তি পেলাম। তবে শীতকাল হওয়ায় তেমন পানি ছিল না।
এ যেন এক মায়ার রাজ্য যার শেষ আমায় করতেই হবে। আমি ওদের ডাক দিলাম, বললাম আমিও যাচ্ছি। কোথা থেকে যেন শক্তি চলে এল, মনবল ফিরে পেলাম। আমাদের যাত্রা আবার শুরু হলো। কিছুদূর যাওয়ার পর একটা দোকান পেলাম। বলে রাখা ভালো সীতাকুণ্ড সনাতন ধর্মের মানুষের জন্য খুব পবিত্র জায়গা। প্রতিদিনই এখানে প্রচুর মানুষের আগমন হয়।
আমরা পানি আর কিছু খাবার খেলাম। আমাদের মোবাইলয়ের উচ্চতা মাপার অ্যাপসটা দেখাচ্ছিল আমরা এক হাজার ফুট উপরে আছি। পাহাড়ে চূড়ার উঠতে আর অল্প একটু রাস্তা বাকি। এ এক অদ্ভুত অনুভূতি। এত উপরে উঠা আমাদের তিনজনের জন্যই এই প্রথম। বাকি পথটুকু পেরুতে আর তর সইছিল না।
আবার হাঁটা দিলাম। অবশেষ টানা এক ঘন্টা ৪৫ মিনিট পাহাড়ের বুক চিড়ে উঠে আসার পর মিলল কাঙ্ক্ষিত চূড়া।