পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও এই বিষয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করি।
Published : 20 Apr 2025, 10:03 PM
আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্যকে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় না। আর যদি হয় শিশুর স্বাস্থ্য, তাহলে তো সেটা কোনো ধরনের গুরুত্বই পায় না।
২০১৯ সালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপে উঠে এসেছে যে, দেশের প্রায় ১৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ শিশু কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছে।
দেশের মোট শিশু-কিশোরের মধ্যে এটি একটি বড় সংখ্যা বলাই যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তেমন কোনো প্রচারণা দেখতে পাওয়া যায় না।
বড়দের মত শিশুদেরও মন আছে। তাদেরও ভালো লাগা ও মন্দ লাগার অনুভূতি আছে। তাদের মনের অবস্থা দৈনন্দিন কাজকর্মেও প্রভাব ফেলে। কিন্তু অনেক সময় অভিভাবকরা এই বিষয়টি ভেবে দেখেন না।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পত্রিকায় একজন মনোবিদের সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, শিশুরা যদি তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে না পারে তাহলে তা তাদের মনে থেকে যায়। এটি ধীরে ধীরে তাদের আত্মবিশ্বাস ও একাগ্রতা নষ্ট করে দেয়।
এটা পড়ার পর আমার মনে হয়েছে, শিশুদের মনের কথা প্রকাশ করার সুযোগ থাকা উচিত। পরিবারকেই এই সুযোগ করে দিতে হবে।
পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও এই বিষয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করি। কেননা, আমরা দিনের একটা বড় অংশ স্কুল-কলেজে কাটাই। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুলে কোনো মনোবিদ নেই।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: কিশোরগঞ্জ।