চাকমাদের বিশ্বাস সাতটি বাড়িতে পাজন খেলে তারা সারা বছর রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকে।
Published : 12 Apr 2023, 12:53 PM
বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম এক জাতিগোষ্ঠী হলো চাকমা।
চাকমারা মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানে বসবাস করে। তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব হলো বিজু।
বিজু বাংলা বছরের শেষ দুই দিন এবং প্রথম দিন মিলে পালন করা হয়। যা ফুলবিজু, মূলবিজু এবং গোজ্জেপোজ্জ্যে বিজু নামে পরিচিত।
ফুল বিজু চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন পালন করা হয়। এদিন ভোর রাত থেকে পাড়া পাড়া ঘুরে ফুল উত্তোলন করা হয় এবং ভোর বেলা নদীর তীরে ফুল দিয়ে প্রার্থনা করে ফুল ভাসানো হয়। ওইদিন বাসা-বাড়ি ফুল দিয়ে মনোরম করে সাজানো হয়।
মূলবিজু পালন করা হয় চৈত্র সংক্রান্তির দিন। এই দিনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো পাজন। যা তৈরি হয় হরেক রকম পদের সবজির মাধ্যমে। সাত থেকে ৩৫ পদের পাহাড়ি সবজি দিয়ে পাজন তৈরি করা হয়। চাকমাদের বিশ্বাস সাতটি বাড়িতে পাজন খেলে তারা সারা বছর রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকে।
গোজ্জেপোজ্জ্যে বিজু পালন করা হয় নববর্ষের দিন। এ দিন মূলত সবাই বিজুর আমেজ শেষে জিরিয়ে নেয়। তবে বর্তমানে বিহারে বিহারে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায়।
এই তিনদিন পাহাড়ের প্রতিটি এলাকা মেতে উঠে উৎসবের আমেজে। জাত-পাত ভুলে গিয়ে, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সকলে মিলে মিশে আনন্দের বন্ধনে হয়ে উঠে একাকার।
পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’। ত্রিপুরার বৈসুক, মারমার সাংগ্রাই এবং চাকমার বিজু বর্ষবরণ উৎসবকে একসঙ্গে ‘বৈসাবি’ বলা হয়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: রাঙ্গামাটি।