'সে মানুষ তুমি কি মানুষ না? সে ভাত খায় তুমি কি ভাত খাও না? তাহলে তুমি কেন খারাপ করবে? ঠিক এমন প্রশ্নই করে থাকেন আমাদের অভিভাবকরা। অথচ তারা বোঝেন না, এটি একজন শিশুর মনকে কতটা আঘাত দিতে পারে।'
Published : 21 Jan 2024, 07:41 PM
আমাদের জীবনে কোন জিনিসটির বেশি প্রয়োজন, প্রতিযোগিতা না সহযোগিতা? আমার ধারণা সকলেই সহযোগিতার কথা বলবেন। তাহলে আমাদের অভিভাবকরা কেন শিশুদের পড়াশোনার বেলায় এই বিষয়টি বুঝতে পারেন না?
শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময় অভিভাবকরা বলেন, এখন ভালো করে পড়াশোনা কর, মাধ্যমিক পর্যায়ে গেলে আর এত চাপ থাকবে না। যখন মাধ্যমিক স্কুলে যাওয়া শুরু হয়, তখন বলা হয় ভালো ভাবে পড়। এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করতে হবে। পর্যায় ক্রমে আসে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি। প্রতিযোগিতা আসলে কখনো শেষ হয় না। পুরো শিক্ষাজীবন জুড়ে এটি চলতেই থাকে।
ফলে অভিভাবকরা ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনার জন্য শিশুদের উপর চাপ প্রয়োগ করা শুরু করেন। তারা মনে করেন, এই প্রতিযোগিতার ফলে শিশুরা অনেক কিছু শিখতে পারে।
এই কারণে অনেক অভিভাবক শিশুদের কোনো ভুল হলে বা পরীক্ষার ফল খারাপ হলে তাদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে আঘাত করেন। শিশুদের নানা ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। কেন খারাপ হলো? অমুকের ছেলে অমুকের মেয়ে অনেক ভালো করতে পারে, তাহলে তুমি কেন পার না?
সে মানুষ তুমি কি মানুষ না? সে ভাত খায় তুমি কি ভাত খাও না? তাহলে তুমি কেন খারাপ করবে? ঠিক এমন প্রশ্নই করে থাকেন আমাদের অভিভাবকরা। অথচ তারা বোঝেন না, এটি একজন শিশুর মনকে কতটা আঘাত দিতে পারে।
এই ধরনের পরিবেশ থেকে আমাদের অভিভাবকদের বের হতে হবে। পরিবর্তিত শিক্ষাক্রম শিশুদের উপর চাপ কমাবে বলে বলা হচ্ছে। তবে আমাদের অভিভাবকরা তাদের মানসিকতা বদলাবেন কিনা সেই প্রশ্ন রয়ে যায়। আমি চাই, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন আমাদের অভিভাবকেরাও বদলে যান।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: সিলেট।