বেঁচে থাক সুন্দরবন

সুন্দরবন। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান

শুধু বাংলাদেশ নয়, সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এই বনের ৬২ শতাংশ বাংলাদেশের সীমানায় পড়েছে। আর বাকি ৩৮ শতাংশের মালিকানা প্রতিবেশী দেশ ভারতের।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এই বনের অনেক অবদান রয়েছে।

সুন্দরবন ১৯৯২ সালে রামসার ৫৬০তম সাইটের স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের এই জাতীয় বনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসবে ঘোষণা দেয় ইউনেস্কো।

বিপুল বৃক্ষে আচ্ছাদিত সুন্দরবনকে অক্সিজেনের কারখানা বলা যায়। পরিবেশের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও আছে সুন্দরবনের অবদান। সুন্দরবনের কাঠ, কাঠের উপর নির্ভরশীল শিল্পের কাঁচামালের জোগান দেয়।

বনের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা নদীর মাছ, শামুক, কাঁকড়া, মৌচাক থেকে সংগ্রহীত মধু, মোম দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে।

দেশের পর্যটনেও আছে সুন্দরবনের অবদান। সুন্দরবনের বাঘ আমাদের জাতীয় পশু। বাঘের পাশাপাশি সুন্দরবনে হরিণের দেখাও মেলে। সুন্দরবনের পর্যটন আকৃষ্ট করে ভ্রমণ পিপাসুদের।

জেনে না জেনে অনেককেই সুন্দরবনের ক্ষতিসাধন করতে দেখা যায়। অনেকে অবাধে বৃক্ষ নিধন করছে, কেউ পশু শিকার করছে আবার কেউ আগুন ধরিয়ে বনের বাস্তুসংস্থান নষ্ট করছে। গেল কয়েক বছরে বনের নদীতে তেলবাহী জাহাজ ডোবার ঘটনাও ঘটেছে।

বনের উপর এই সব কিছুরই প্রভাব পড়ছে। তাই তো, বাঘ গণনার সময় বাঘ কমে যাওয়ার মতো তথ্যও পাওয়া যায়। অন্য প্রাণির সংখ্যাও কমতে শোনা যায়। কমছে বৃক্ষও।

সুন্দরবন আমাদের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। তাই এই বনকে রক্ষার জন্য সরকারকে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রকৃতির পরম বন্ধু এই ম্যানগ্রোভ বনকে রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: কিশোরগঞ্জ।