একজন মানুষকে সফলতার গোড়ায় পৌঁছে দিতে শিক্ষকের বিকল্প নেই। শুধু পড়ানোই নয়, জীবনে চলতে নানা উপদেশ দেওয়া, নৈতিকতা শেখানো, প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করাও শেখান তারা। আর এই শিক্ষকদের অধিকার আদায় ও সংরক্ষণের জন্য সারাবিশ্বে পালিত হয়ে আসছে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’।
Published : 05 Oct 2015, 04:41 PM
২০১৫ সালের শিক্ষক দিবসের স্লোগান- ‘টেকসই সমাজ গড়তে শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন।’
১৯৬৬ সালের ৫ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসে শিক্ষকদের অবস্থা নিয়ে আন্তঃসরকার সম্মেলন হয়েছিল। আর সেখানেই শিক্ষকদের কথা চিন্তা করে ইউনেস্কো এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও) কিছু পরামর্শে সই করে।
১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর প্রথম বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর এই দিনে শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে। যদিও স্থানীয়ভাবে ৫ অক্টোবরের কাছাকাছি অন্য দিনগুলোতেও এই দিবস পালিত হয়ে থাকে, যাতে করে উত্তর গোলার্ধে শরতের ছুটি আর দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তের ছুটির মধ্যে এটি না পড়ে।
১৯৯৭ সালের ১২ অক্টোবর ইউনেস্কোর ২৯ তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাতেই নভেম্বরের ১১ তারিখে উচ্চ শিক্ষার শিক্ষকদের অবস্থার কথা চিন্তা করে পরামর্শ গৃহীত হয়।
২০০২ সালে কানাডা বিশ্ব শিক্ষক দিবসকে সম্মান জানাতে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে।
শিক্ষকেরা যে কেবল শিক্ষার লক্ষ্য পূরণের হাতিয়ার নন, বরঞ্চ জ্ঞান, মূল্যবোধ এবং নীতির উপর ভিত্তি করে সমাজ এবং শিক্ষার টেকসই জাতীয় ভিত গড়ে তোলার চাবিকাঠি, এটি এখন সর্বজন গৃহীত সত্য। এরপরও কর্মী সংকট, নিম্নমানের প্রশিক্ষণ এবং সমাজে নিচু অবস্থানের কারণে তাদেরকে বাধার সম্মুক্ষিণ হতে হচ্ছে।