‘এই শহর, যাদুর শহর প্রাণের শহর ঢাকা রে এই শহর, যাদুর শহর প্রাণের শহর আহা রে!’
Published : 11 Jun 2017, 06:37 PM
রাজধানী ঢাকা নিয়ে তৈরি গানটি শুনতে শুনতে বারবার একটি প্রশ্ন মনে পড়ে যায় আমার। আচ্ছা, আজ থেকে একশ বছর আগে ঠিক কেমন ছিল এই যাদুর শহর?
চিরচেনা ব্যস্ত এ শহর কী এই রকম ব্যস্ত থাকত এখন যেমন? নাকি জনবিরল, ছিমছাম, পৃথিবীর শান্ত শহরগুলোর একটি ছিল?
নিজের এরকম প্রশ্নের উত্তর পেতে খুঁজতে লাগলাম ঢাকার ইতিহাস; একসময় পেয়েও গেলাম। মুনতাসীর মামুন রচিত 'ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী'-বইটি পড়ে মনে হল, কিছু অবাক করা তথ্য সবাইকে জানালে মন্দ হয় না। সে চিন্তা থেকেই ঢাকার কিছু নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে আজকের এ লেখা।
তৎকালীন সরকার এ দাবি আমলে নিলেও নানা আনুষ্ঠানিকতা ও প্রতিবন্ধকতার শেষে প্রায় নয় বছরের মাথায় ১৯২১ সালে তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০জন শিক্ষক, আটশ ৭৭ সাতাত্তর জন ছাত্র ও তিনটি আবাসিক হল নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ইতিহাসও বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। কলকাতা মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের ভিড় দিনে দিনে বাড়তে থাকায় তৎকালীন গভর্নর স্যার জর্জ ক্যাম্পবেল ১৮৭৩ সালে ঢাকায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১৮৭৫ সালের ১৫ জুন ঢাকা মেডিকেল স্কুলের ক্লাস শুরু হয়েছিল।
এ স্কুলের উন্নতির জন্য বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তির অর্থায়ন এবং শিক্ষকদের প্রয়াসে স্কুলটি একসময় সাফল্যের মুখ দেখে। ১৯৬২ সালে একে রূপান্তর করা হয় কলেজে এবং নাম দেয়া হয় সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।
১৯১২ সালে এ স্কুলে মেয়েদের জন্য একটি আলাদা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয় যা পরবর্তীতে সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার স্কুলে রূপ নেয়।