জাতিসংঘের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে না পারলে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না।
Published : 28 May 2023, 03:29 PM
প্রসবকালীন নানা জটিলতায় বিপদের মুখোমুখি হয়ে থাকেন মায়েরা, ঘটে মাতৃমৃত্যুর ঘটনাও। বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতন হলে এই শঙ্কা অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব।
“টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট: বাংলাদেশ অগ্রগতি প্রতিবেদন ২০২০” শীর্ষক পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে শহরের তুলনায় গ্রামে মাতৃমৃত্যুর হার বেশি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে প্রতি লাখে ১৬৫ জন নারীর গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসবজনিত মৃত্যু হয়। ১৯৯৫ সালে এই হার ছিল প্রতি লাখে ৪৪৭ জন।
দেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমলেও এই সংখ্যা শতভাগে নেমে আসেনি। মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পুষ্টিহীনতা, অপরিকল্পিত গর্ভধারণ, রক্তস্বল্পতা, সুচিকিৎসার অভাব ও বাল্যবিয়ের মতো ঘটনা।
নারীরর স্বাস্থ্যসেবা নানা কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর মধ্যে ভুল চিকিৎসা, দারিদ্র্য, পারিবারিক অসচেতনতা ও পুরুষদের অবহেলাকে মোটা দাগে দায়ী করা হয়।
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় বলা আছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ৭০ এর নিচে নামিয়ে আনা হবে। এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে না পারলে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না।
নিরাপদ মাতৃত্বের দেশ হিসেবে দেশকে গড়ে তোলার জন্য নারীর স্বাস্থ্যসেবায় মনোযোগী হতে হবে। গর্ভধারণ ও প্রসবকালীন সময়ে তাদের প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
গর্ভধারণ ও প্রসবকালীন মায়েদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সচেতন করার লক্ষ্যে দেশে প্রতি বছর ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করা হয়। আর বিশ্বজুড়ে দিনটিকে নারী স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা।