কয়েকটি গ্যাসকে এই এসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী করা হয়। সেই গ্যাসগুলোর কয়েকটি হলো সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও কার্বন ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি।
Published : 14 May 2024, 04:04 PM
এক পশলা বৃষ্টি আমাদের মনে কতটা প্রশান্তি বয়ে আনতে পারে, গ্রীষ্মের এই গরমে আমরা সবাই তা উপলব্ধি করতে পেরেছি।
কিন্তু তোমরা কি জানো মাটি, বায়ু ও পানির মতো এই বৃষ্টিও দূষিত হতে পারে?
এনসাইক্লোপিডিয়া ওয়েবসাইট ব্রিটানিকার একটি নিবন্ধে এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির কারণ ব্যাখা করা হয়েছে। সেখানে কয়েকটি গ্যাসকে এই এসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী করা হয়। সেই গ্যাসগুলোর কয়েকটি হলো সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও কার্বন ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি।
বলা হয়েছে, এসব গ্যাস বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে বৃষ্টিকে অম্লীয় বা এসিডধর্মী করে ফেলে। একারণেই এ বৃষ্টিকে এসিড বৃষ্টি বলা হয়। এই গ্যাসগুলো বিভিন্ন কারণে প্রকৃতিতে বেশি পরিমাণে বিরাজ করতে পারে।
এই যেমন কলকারখানা ও যানবাহনের কালো ধোঁয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়। এছাড়া কোনো কিছু পোড়ানোর ফলেও কার্বন ডাই-অক্সাইড সৃষ্টি হয়।
আমরা প্রায়ই যে বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগার মতো ঘটনা দেখি, এসবের ফলেও অনেক কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস বায়ুর সঙ্গে মিশে যায়।
বিভিন্ন শিল্পকারখানার কাজে মাটি থেকে পেট্রোলিয়াম ও কয়লা উত্তোলন করা হয়। এসবের সঙ্গেও সালফার মিশ্রিত থাকে। যা পোড়ার ফলে বায়ুর সঙ্গে মিশে সালফার ডাই- অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। এছাড়া ইট ভাটার কালো ধোঁয়াও সালফার ডাই- অক্সাইড গ্যাস তৈরি করে।
এসিড বৃষ্টির বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক সম্পর্কেও জানা যায় সে নিবন্ধ থেকে। সেখানে বলা হয়, এসিড বৃষ্টি যখন কৃষি জমিতে পড়ে হয় তখন জমির এসিড ধর্ম বেড়ে যায়। যার ফলে জমি ফসল উৎপাদনের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়া এই বৃষ্টি যখন পানিতে মিশে তখন মাছসহ বিভিন্ন অণুজীব মারা যেতে পারে। এছাড়া গাছেরও ক্ষতিসাধন করতে পারে এই এসিড বৃষ্টি।
এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে আমাদের বেশি করে গাছ লাগানো উচিত। তাহলে এই বৃক্ষ বায়ু থেকে অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড হয়ত শোষণ করে পরিবেশকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়া আমাদেরকে বেশি পরিমাণ অক্সিজেনও সরবরাহ করতে পারবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।