‘এখানে পাঠদান ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় খানিক পশ্চিম পাশে পাকা সড়কের কাছে নির্মাণ করা হচ্ছে স্কুলটির নতুন ভবন।’
Published : 04 Nov 2023, 04:51 PM
নদী ভাঙনের কবলে পড়ায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্যত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তেঁতুলিয়া নদীর তীর ভাঙতে ভাঙতে উপজেলার নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়নের ৭১নং নিমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। মাটি সরতে থাকায় স্কুলের একটি ভবনে ফাটলও দেখা দিয়েছে।
বিদ্যালয়টিতে ১২১ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন আট জন। এখানে পাঠদান ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় খানিক পশ্চিম পাশে পাকা সড়কের কাছে নির্মাণ করা হচ্ছে স্কুলটির নতুন ভবন।
বিপজ্জনক ভবনে আর পাঠদান করতে হবে না, তাই স্বস্তি প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, “এখানে জোয়ারের সময় অনেক পানি উঠে। হাঁটতে চলতে কষ্ট হয়। নদী ভেঙ্গে সব চলে যাচ্ছে। আমাদের স্কুল কয়েক দিনের মধ্যে চলে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের সমস্যা হবে না। আমাদের জন্য ওখানে নতুন আরেকটা ভবন হচ্ছে।”
আরেক জন শিক্ষার্থী বলে, “এখানে পানি উঠার কারণে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সুবিধা হচ্ছে, আমাদের জন্য নতুন ভবন হচ্ছে। সেখানে আমরা ক্লাস করব।”
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ হ্যালোকে বলেন, “নদীর পাশে স্কুল থাকায় দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের সমস্যা হয়েছে। নদীর জোয়ারে স্কুলের আঙিনা ভেসে যেত। এখন এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। পশ্চিম পাশে নতুন আরেকটি ভবন হচ্ছে। এতে করে পাঠদানে আর কোনো সমস্যা হবে না।”
শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব করার জন্য নিজেকে অনেক ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার হ্যালোকে বলেন, “বর্ষাকালে অন্তত দুইবার জোয়ারের পানি আসে স্কুলে। এতে আমাদের দুর্দশার শেষ নাই। খুশির খবর হলো যে, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ যেন ভবনের কাজ দ্রুত শেষ হয় এবং আমরা তাড়াতাড়ি নতুন ভবনে যেতে পারি।“
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: পটুয়াখালী।