"আমি একজন সচেতন মা হিসেবেই আমার মেয়েকে কারাতে প্রশিক্ষণে দিয়েছি।"
Published : 11 Aug 2023, 08:31 PM
কুড়িগ্রামে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বখাটেদের রুখতে শিখছে কারাতে।
জেলা স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায় দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে একদল শিক্ষার্থী আত্মরক্ষার্থে কারাতের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
নাম মাত্র ফি দিয়ে ছেলে-মেয়ে মিলে এখানে ৬২ জন কারাতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যার মধ্যে মেয়ের সংখ্যা ৩৫ জন। আর তাদেরকে তিনজন প্রশিক্ষক রয়েছেন।
কারাতে শিখতে আসা কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিফতাহুল জান্নাত হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, "আমি এখানে এক মাস ধরে কারাতে শিখছি। প্রথম দিকে অনেকে অনেক ধরনের মন্তব্য করত। এসবকে পাত্তা না দিয়ে আমি এখানে নিয়মিত শিখতে আসি।"
সিনিয়া আক্তার জিশা নামে একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, 'আমি এখানে তিন বছর ধরে কারাতে শিখছি। শুরুর দিকে ছেলেদের সাথে শিখতে হতো। এখন অনেক মেয়েরা আসে শিখতে বিষয়টি সত্যি ভালো লাগার। আমি কারাতে প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায় থেকে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়েছি।"
আট বছরের ছোট্ট শিশু ফারাহ হাসান সিয়াম বলছিল, "আমি প্রতিদিন বিকেলে বাবার সাথে এখানে আসি কারাতে শিখতে। কারাতে শিখতে খুব ভালো লাগে।"
মোছা. রেশমা আক্তার নামের এক অভিভাবক হ্যালোকে বলেন, "আমি একজন সচেতন মা হিসেবেই আমার মেয়েকে কারাতে প্রশিক্ষণে দিয়েছি। গত তিন বছর ধরে শিখছে সে। এখন মেয়ের সাথে নিঃসংকোচে যেকোন জায়গায় যেতে পারি, নিজের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার ভয়টা আর কাজ করে না।"
কুড়িগ্রাম কারাতে ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়ক ও প্রশিক্ষক খাজা ইউনুস ইসলাম হ্যালোকে বলেন, "আমি ৪৫ বছর ধরে কারাতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছি। কিন্তু মেয়েদের এতে তেমন আগ্রহ লক্ষ্য করিনি। গত দুই বছর ধরে ক্রমাগত স্টেডিয়ামে মেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে।"
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ হ্যালোকে বলেন, 'কারাতে প্রশিক্ষণে মেয়েদের সংখ্যাটা বাড়ছে এটা কুড়িগ্রাম জেলার জন্য একটি ভালো দিক। মেয়েদের প্রশিক্ষণ নিতে কারাতে ম্যাটসহ যেসব বিষয়ে সংকট রয়েছে আমরা দ্রুত বিষয় গুলোর সমাধান করব।"
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: কুড়িগ্রাম।