স্কুলে ফেরার দিন (ভিডিওসহ)

উৎস বমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে খুলেছে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্কুলগুলো বরণ করে নিয়েছে তাদের শিক্ষার্থীদের।

দীর্ঘ সময় পর বছরের প্রায় শেষে নতুন ইউনিফর্ম পরে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে আবারও স্কুলে ফিরতে পেরে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত এবং আনন্দিত।

সুনামগঞ্জের সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী দুর্বার শামিত আদি হ্যালোকে বলে, "দীর্ঘদিন পর স্কুলে ফিরেছি। অনেকের ইউনিফর্ম ছোট হয়ে গিয়েছে। সবাই মনে হচ্ছে নতুন ভাবে ফিরে এসেছি। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে যাচ্ছি।”

একই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী অর্ণব বণিক বলে, "স্কুলে এসে বন্ধুদের পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আমার মনে হয় না এ রকম দিনে কারো খারাপ লাগতে পারে। আর স্কুলটাও খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।"

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করতে পেরে আনন্দিত প্রত্যয় হাজং নামের আরেক শিশু। সে হ্যালোকে বলে, "আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করছি। অনেক দিন পর স্কুলে এসেছি। আমাদের সুন্দর করে বরণ করে নেওয়া হয়েছে।"

শিক্ষকরাও দীর্ঘদিন পর শ্রেণিকক্ষে এসে সরাসরি ক্লাস নিতে পেরে আনন্দিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন বলে তারা আশাবাদী।

“এতদিন পর স্কুল খুলেছে। এজন্য আমিও এক্সাইটেড, বাচ্চারাও এক্সাইটেড। কিন্তু করোনার ভয় তো আছেই। তবে, ভয়কে জয় করেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই," বলছিলেন সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাধবী রাণী দাস।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. ফয়েজুর রহমান হ্যালোকে বলেন, "স্কুল খুলে দেওয়ায় আমরা ছাত্র থেকে শিক্ষক সবাই আনন্দিত। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাস নিয়েছি।"

একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক ফারুক আহমেদ বলেন, "ছাত্রদের সামনে আবারো আসতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। আমরা দেখবো ছাত্ররা যেন সুস্থ থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারে।"

তবে অভিভাবকদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাদের অনেকেই স্কুল খুলে দেওয়ায় আনন্দিত, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে স্কুলগুলোর নেওয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্ট। স্কুলগুলোতে নিয়মিত এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে কিনা এ বিষয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।

হ্যালোর ক্যামেরায় এক অভিভাবক তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, তারা স্কুল খুলে দিয়েছেন। স্কুলগুলোর স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আশা করি শিক্ষার্থীরা আবার পড়াশোনায় মনোযোগী হবে।"