দীর্ঘদিন থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় এবং অনলাইন ক্লাসের সুযোগ না থাকায় পড়ালেখার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশু ও তাদের অভিভাবকরা।
Published : 27 Jun 2021, 04:29 PM
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পাহাড়ি গ্রাম রাজাইয়ের হাজং পল্লীর শিশুদের সঙ্গে কথা বলেছে হ্যালো।
তারা জানায়, মহামারি পরিস্থিতি তাদের পড়াশোনাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। মহামারির আগে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য খুব কষ্ট করে স্কুলে যেতে হতো। তবে এখন পড়াশোনাটা চালিয়ে নেওয়াই কঠিন হয়ে গেছে।
চানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নন্দিতা হাজং বলে, "করোনার কারণে আমাদের পড়াশোনা হচ্ছে না। আমরা স্কুলে যেতে পারছি না। অনলাইন ক্লাসও করতে পারছি না, কারণ অনলাইন ক্লাস করার মতো প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমাদের নেই।"
একই স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নয়ন হাজং হ্যালোকে বলে, "আমাদের অনলাইন ক্লাস করার সামগ্রী নেই। তাই অনলাইনে ক্লাস করতে পারি না।"
১৪ বছর বয়সী উদয় হাজং নামের আরেক শিশু বলে, "আমাদের এখানে অনলাইন ক্লাস করতে অনেক অসুবিধা হয়। নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। তাছাড়া আমাদের সবার কাছে মোবাইল বা কম্পিউটারও নেই।"
অভিভাবকরা জানান, বর্তমানে তাদের সন্তানদের পড়াশোনা একদমই হচ্ছে না। স্কুল থেকেও তেমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় না। তাই সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত।
সুরমা হাজং নামের একজন অভিভাবক হ্যালোকে বলেন, "কীভাবে অনলাইনে বা মোবাইলে ক্লাস করে তা বাচ্চারা জানে না। তাছাড়া আমাদের অনেকেরই মোবাইল বা টিভি নেই।"
সত্যজিৎ হাজং নামের আরেকজন অভিভাবক বলেন, "তাদের অনলাইন ক্লাসের সুবিধা নাই। তাই পড়াশোনায় অনেক ডিস্টার্ব অই যায়।"