নবজাতকের সঠিক পরিচর্যা ব্যাহত হয় বাল্যবিয়ের কারণে

'কিন্তু দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করা অবস্থায় তার প্রথম সন্তানের জন্ম হওয়ার পর তার পড়ালেখার সমাপ্তি ঘটে।'
নবজাতকের সঠিক পরিচর্যা ব্যাহত হয় বাল্যবিয়ের কারণে

খেলাধুলার বয়সে বিয়ে দেওয়া হলে তা মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে। শিশুবয়সে সন্তান জন্মদানেও থাকে মৃত্যঝুঁকি।

একটি শিশু অন্য আরেকটি শিশুর সঠিক যত্ন নিতে পারে না। এতে করে বাল্যবিয়ের কারণে সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতকের সঠিক পরিচর্যা ব্যাহত হয়।

বাল্যবিয়ের কুফল নিয়ে কথা হয় বাল্যবিয়ের শিকার এক নারির সঙ্গে। এক ছেলে এবং এক মেয়ের জননী রহিমা হিলালী রেণু নামের এই নারী জামালপুরের বাসিন্দা। ৫৫ বছর বয়সী এই নারীর বিয়ে হয়েছিল মাত্র ১১ বছর বয়সে।

হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বিয়ের সময় আমার বয়স ছিল ১১ বছর। খেলাধুলার বয়সে পুরো একটি সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে আমার কাঁধে। তখন আমি এসবের কিছুই বুঝতাম না।’’

রেণু পড়ালেখায় ভালো ছিলেন বলে বিয়ের পরও শশুর বাড়ি থেকেই তার পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করা অবস্থায় তার প্রথম সন্তানের জন্ম হওয়ার পর তার পড়ালেখার সমাপ্তি ঘটে। প্রথম সন্তানের জন্মের সময় রেণুর বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। নবজাতকের যত্ন কিভাবে নিতে হয় সে সম্পর্কে কিছুই জানতেন না ১৬ বছরের এই কিশোরী। তিনি বলেন, “আমার প্রথম সন্তান ছেলে, তাকে কীভাবে খাওয়াতে হয়, কীভাবে গোসল করাতে হয়, কীভাবে ঘুম পাড়াতে হয় এসব কিছুই আমি জানতাম না। বাচ্চা কান্না করলে আমার অস্বস্তি হতো।

“আমার ছেলের বয়স তখন মাত্র তিন দিন। রাতের বেলা ওকে কোলে নিয়ে আমি বসে ছিলাম। তখন আমার একটু তন্দ্রা ভাব হয়। হঠাৎ করেই বাচ্চা নড়ে উঠলে আমি ভয় পেয়ে যাই যে আমার কোলের ভেতর কী! ভয় পেয়ে আমি ওকে ফেলে দেই।’’

নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন হিলালী রেণু। তিনি তার মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দেননি। পরিণত বয়সে ১৮ বছরের পরই তার মেয়েকে বিয়ে দেন।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: জামালপুর

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com