'আমার দুই জন বান্ধবীর দশম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় বিয়ে হয়। একজন এখনও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরজন এখন সংসার সামলাতে ব্যস্ত।'
Published : 03 Apr 2024, 01:56 PM
বাল্যবিয়ে হলে কিশোরীর পৃথিবী ছোট হয়ে আসে। বন্ধ হয় পড়াশোনা। বাল্যবিয়ের শিকার শিশু ভোগে শারীরিক ও মানসিক জটিলতায়।
বাল্যবিয়ে সম্পর্কে নিজেদের ভাবনা জানতে চাইলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই কথাগুলো বলে রাজধানীর কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া সিদ্বেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লাবণ্য আক্তার দিনা তার এক বান্ধবীর বাল্যবিয়ে হতে দেখেছে।
বাল্যবিয়ের শিকার বান্ধবীর সম্পর্কে সে বলে, “আমাদের সঙ্গে সে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। তারপর পারিবারিক সমস্যার কারণে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বাবা মা তাকে বিয়ে দেয়।”
বাল্যবিয়ের কারণে কিশোরীর পড়াশোনা বন্ধ হতে দেখেছে লাবনী আক্তার নামের আরেক শিক্ষার্থী।
হ্যালোকে সে বলে, “বাল্যবিয়ে হওয়ায় আমার সহপাঠীকে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়তে দেখেছি। আমি চাই না আর কোনো মেয়ের সঙ্গে এমনটা হোক।”
১৭ বছর বয়সী কবিতা আক্তার রাজধানীর একটি বেসরকারি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। হ্যালোকে সে জানায়, তার দুই জন বান্ধবীর গত বছর বিয়ে হয়।
হ্যালোকে সে বলে, “আমার দুই জন বান্ধবীর দশম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় বিয়ে হয়। একজন এখনও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরজন এখন সংসার সামলাতে ব্যস্ত।”
বাল্যবিয়ের কারণে কিশোরীর পড়াশোনা বন্ধ হতে দেখেছে একই স্কুলের আরেক শিক্ষার্থী। মুশফিকা সালসাবিল মিথিলা নামের এই শিক্ষার্থী হ্যালোকে বলে, “আমি দেখেছি যে মেয়েদের বাল্যবিয়ে হয় তারা বেশিরভাগই আর লেখাপড়া করতে পারে না।
“অনেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই গর্ভধারণ করে। অল্প বয়সে গর্ভধারণের পর গর্ভপাতের মতো ঘটনাও আমি দেখেছি।
“আমি মনে করি না যে, এটা আমাদের সমাজের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে।”
সিদ্বেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনিকা রাত্রি মনে করে, বাল্যবিয়ে মানে একটি কিশোরীর জীবনের অপমৃত্যু।
সে হ্যালোকে বলে, “বাল্যবিয়ে হলে একজন কিশোরীর শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা হয়। সে অনেক কিছু সম্পর্কেই অজ্ঞ থাকে। এটা তার ভবিষ্যতকে নষ্ট করে দেয়।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।