"চোখের সামনে বাল্যবিয়ে ঘটতে দেখলেও বন্ধ করতে কোনো উদ্যোগ নেয় না।"
Published : 30 Dec 2022, 01:29 PM
বাল্যবিবাহ নামক ব্যাধি অসংখ্য শিশুর সুন্দর সুপ্ত সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলাতে বাল্যবিবাহের ঘটনা বেশি দেখা যায়।
ইউনিসেফের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের শতকরা ৬৫ শতাংশ বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে।
প্রতিবেশি দেশ ভারতে এ হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ শতাংশ। এরপর নেপালে ৪১, আফগানিস্তানে ৪০ এবং ভুটানে ২৬ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হয়।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি আরও বলেছে, শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বাল্যবিয়ের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের শিকার মেয়েদের ৭০ শতাংশ গ্রামের এবং ৫৩ শতাংশ শহরাঞ্চলের বাসিন্দা।
আমাদের সমাজের অনেক সচেতন মানুষই বাল্যবিয়েতে অসমর্থন জানালেও তারা বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয় না। রুখে দাঁড়ায় না বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে। চোখের সামনে বাল্যবিয়ে ঘটতে দেখলেও বন্ধ করতে কোনো উদ্যোগ নেয় না।
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ এই বিয়ে বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: মৌলভীবাজার।