চুয়াডাঙ্গা যাওয়া আসার পথে দুইবার ট্রেনে চড়ার সুযোগ হয়।
Published : 27 Sep 2025, 08:45 PM
আমার জেলা সাতক্ষীরায় কোনো রেলপথ নেই। তাই ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা আমার হয়নি। অনেকদিনের অপেক্ষার পর ট্রেনে চড়ার সুযোগ আসে।
এ বছরের ২৩ অগাস্ট আমি প্রথম রেলপথে ভ্রমণ করেছি। সেদিন বাল্যবিয়ে বিষয়ে একটি আলোচনায় অংশ নিতে চুয়াডাঙ্গা গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে ছিলেন আমার প্রতিবেশী মাহিন ভাইয়া ও শান্তা আপু।
সাতক্ষীরা থেকে প্রথমে বাসে করে আমরা খুলনা জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছাই। তারপর রিকশায় করে খুলনা রেলস্টেশনে যাই। স্টেশনটি অনেক বড় এবং ব্যস্ত এলাকা।
আমরা টিকিট কাউন্টার থেকে সাগরদাড়ি এক্সপ্রেসের তিনটি 'শোভন চেয়ার' টিকিট কেটে নেই। আমাদের ট্রেন ছাড়ার সময় ছিল বিকেল ৪টা। তবে আমরা প্রায় এক ঘণ্টা আগেই স্টেশনে পৌঁছে যাই। সেই সময়টুকু প্ল্যাটফর্মে ঘুরে বেড়াই এবং ছবি তুলে সময় কাটিয়েছি।
আমাদের ট্রেন ৪টা ২ মিনিটে প্ল্যাটফর্মে আসে। তখনই খেয়াল করি, ভুলে আমরা তিনটির বদলে দুইটি সিটের টিকিট কেটেছি। সময় না থাকায় আমরা তিনজনই ট্রেনে উঠে পড়ি।
মজার ব্যাপার হল, আমাদের সিটের ঠিক পিছনের তিনটি সিট খালি ছিল। মাহিন ভাইয়া সেখানে বসে পড়েন এবং পরে দায়িত্বরত ব্যক্তিকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদের আরেকটি টিকিট দিয়ে দেন।
ট্রেনে আমাদের সিটগুলো ছিল উল্টো দিকে। ফলে ট্রেন চলার সময় মনে হচ্ছিল আমরা পেছনের দিকে এগোচ্ছি আর জানালার বাইরের দৃশ্যগুলো সামনের দিকে ছুটে যাচ্ছে।
পথে নানা দৃশ্য দেখতে দেখতে ৬টা ৪৫ মিনিটে আমরা চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে পৌঁছে যাই। সেখানে আমাদের কাজ শেষ করে পরদিন আমরা আবার ট্রেনে চড়ে যশোরে ফিরি। এরপর বাসে করে বাড়িতে ফিরে আসি।
চুয়াডাঙ্গা যাওয়া আসার পথে দুইবার ট্রেনে চড়ার সুযোগ হয়। এই স্মৃতি আমার কাছে খুবই বিশেষ। যা আমি কখনও ভুলব না।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: সাতক্ষীরা।