ছোটবেলা থেকেই বই, পত্রিকা পড়তে ভালোবাসি। পড়ে নিজেও টুকটাক লেখালেখি শুরু করি। বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপাও হয়।
Published : 31 Mar 2022, 12:39 PM
ছোট থেকেই সাংবাদিক হবার খুব ইচ্ছা আমার। সাংবাদিকদের দেখলে মনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হতো। মনে হতো দৌড়ে গিয়ে প্রশ্ন করি, উনি কীভাবে সাংবাদিকতা শিখলেন আর আমিই বা কীভাবে শিখব ইত্যাদি।
মনে মনে ভাবতাম, ইশশ! যদি শিশুরা সাংবাদিক হতে পারত। আমার খুব শখ মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে মানুষকে প্রশ্ন করি। যেহেতু পত্রিকা পড়তাম, মনে হতো এই প্রতিবেদনটা তো আমি আরো ভালো ভাবে করতে পারতাম। আবার কোথাও কিছু দেখলে মনে হতো এটা নিয়ে তো প্রতিবেদন করা যেত। এগুলো কেন সাংবাদিকরা করে না?
একদিন হঠাৎ ফেইসবুকে একটা প্রতিবেদন চোখের সামনে ভেসে উঠল। দেখলাম একজন শিশু সাংবাদিক প্রতিবেদনটা তৈরি করেছে। আমি তো মনে হয়, আকাশ থেকে পড়লাম!
শিশু সাংবাদিক? এও আবার হয় নাকি? দ্রুত হ্যালো সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে শুরু করলাম। আমাকে আর কে আটকায়। সাতপাঁচ না ভেবেই সাথে সাথে লিংক পেয়ে আবেদন করে ফেলি। তারপর মেইল পেয়ে যাই। কিন্তু হ্যালো থেকে তো কোনো কল পাইনি। এরপর আমি কাজ করতে শুরু করি।
আমি প্রথমেই ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করেছি। ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বাড়ছে। ভুলত্রুটিগুলো এখন কমতে শুরু করেছে। হ্যালো থেকে নানা পরামর্শ পেয়েছি কীভাবে কাজ করতে হবে, কী করতে হবে ইত্যাদি।
যখন আমার প্রথম প্রতিবেদন হ্যালোতে প্রকাশ হয় এর আনন্দের পাশাপাশি ভয়েও ছিলাম। কারণ আম্মুকে না জানিয়েই এত কিছু করে ফেলেছি। আম্মু এসব পছন্দ করবেন না হয়ত।
কিন্তু আমি আড়াল করতে পারলাম না বিষয়টা। কেমন করে যেন আম্মু আমার প্রতিবেদনটা দেখে ফেলে এবং দেখে অবাক হলাম যে, আম্মু আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে পাঠিয়েছেন আমার প্রতিবেদনটা। মনে হলো বুকের উপর থেকে অনেক বড় পাথর নেমে গেল।
এখন আমার শখ পূরণ হয়েছে ঠিক। কিন্তু একটা আক্ষেপ সব সময় আমাকে কষ্ট দেয়। সেটি হলো এত দেরিতে হ্যালোতে যুক্ত হওয়া। মনে হয় যদি আরো আগে হ্যালোতে যুক্ত হতে পারতাম। কারণ, হ্যালোতে আমি আছি আর সাত মাস। ১৮ হয়ে গেলে বিদায় নিতে হবে স্বপ্নের হ্যালো থেকে।