স্কুল বন্ধের দিনগুলোতে আমার সময় কাটানোর সবচেয়ে প্রিয় জায়গা আমার গ্রাম। পটুয়াখালী জেলার ছোট্ট গ্রাম চর আলগি। এ গ্রামেই আমার জন্ম, এখানেই বেড়ে ওঠা।
বাবার কাজের জন্য এরপর ছুটেছি বিভিন্ন জায়গায়। অপরুপ সৌন্দর্যে ঘেরা আমার গ্রামের জনসংখ্যা ৪৫ হাজার ৪৯ জন। এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিজীবী। তবে জেলে ও দিনমজুরও রয়েছে। আবার দেখা যায় চাকরির তাগিদে শহরে ছুটছে অনেকেই।
এই গ্রামে হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলেমিশে বাস করে। আমাদের গ্রামে পড়াশোনার জন্য রয়েছে একটি দাখিল মাদ্রাসা ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে তিনটি মসজিদ ও একটি মন্দির।
ছবির মতো সুন্দর এই ছোট্ট গ্রামটি দেখলে মনে হয় শিল্পী যেন তার রঙ তুলি দিয়ে চিত্রকর্ম ফুটিয়ে তুলেছে। পাখির কলকাকলিতে সবসময় মুখরিত থাকে গ্রামটি। দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ তো এক মুহেূর্তেই মন কেড়ে নেয়।
কবি জীবনানন্দ দাশের মতোই বলতে ইচ্ছে করে- আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- হয়ত মানুষ নয় শঙ্খচিল শালিকের বেশে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: পটুয়াখালী।