দশম শ্রেণিতে উঠার পর যেন কিছুদিন পরই স্কুলে ছেড়ে দেওয়ার সময় চলে আসে।
Published : 30 Jun 2024, 05:45 PM
আমি তখন শেরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। স্কুলের পাশেই শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
ওই স্কুলের বড় আপুদের নীল-সাদা পরিপাটি পোশাক পরে স্কুলে যাওয়া দেখে আমারও ওখানে পড়ার ইচ্ছা জাগে।
২০১৯ সালে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগও মিলে যায়। নবীন বরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন স্কুলে শুরু হয় আমার যাত্রা।
এখানে এসে অনেক বড় ক্যাম্পাস ও বিস্তৃত খেলার মাঠ পেয়েছি। কিন্তু সবই ছিল আমার কাছে নতুন। তবুও খুব সহজেই নতুন পরিবেশের সঙ্গে মিশে গিয়েছি।
আমি প্রভাতি শাখায় পড়তাম। স্কুল শুরু হতো সকাল ৭টায়। সমাবেশ শেষে ক্লাস শুরু হতো। মধ্যাহ্ন বিরতিতে বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে আনন্দ করতাম। ঘুরে বেড়াতাম পুরো ক্যাম্পাসে।
এভাবে করে ষষ্ঠ শ্রেণি খুব সুন্দরভাবে কেটে যায় আমার। এরপর প্রায় দুই বছর করোনাভাইস মহামারির প্রকোপে বন্ধ ছিল স্কুল। ২০২২ সালের দিকে এসে স্কুল পুরোপুরি খোলা হয়। তখন আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি।
দশম শ্রেণিতে উঠার পর যেন কিছুদিন পরই স্কুলে ছেড়ে দেওয়ার সময় চলে আসে। যেতে হবে ভেবে খারাপ লাগতে শুরু করে। সে জন্য আমরা তখন স্কুলজীবন ভালোভাবে উপভোগ করতে চেষ্টা করি।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতি বছর শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হতো। আমরা শিক্ষা সফরে গিয়েছিলাম ঢাকার সাভারের একটি বিনোদনকেন্দ্রে। সেখানে শিক্ষক ও বন্ধুদের সঙ্গে অনেক মজার স্মৃতি তৈরি হয়, যা কখনোই ভোলার নয়।
পাঁচ বছরে স্কুলের সঙ্গে এত গভীর সম্পর্ক হয়েছে যে, এত স্মৃতি বলে শেষ করা যাবে না। আমি চাই সবসময় ভালো থাকুক আমার প্রিয় বিদ্যালয়টি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: শেরপুর।