অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, ফলে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তিও হ্রাস পায়।
Published : 27 Jun 2024, 01:28 PM
স্মার্টফোন ছাড়া একটি দিনও যেন কল্পনা যায় না। এর ব্যবহার ও প্রযুক্তি নির্ভরতা আমাদের জীবনকে অনেক সহজ ও আরামদায়ক করে তুলেছে।
কিন্তু যে কোনো বস্তুর প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার ভালো নয়। স্মার্টফোনের ব্যাপারটিও একই রকম। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যবহার করার ফলে এটি আমাদের অনেকের আসক্তিতে পরিণত হয়েছে।
আমি বিভিন্ন লেখায় পড়েছি, স্মার্টফোনের আসক্তি অনেক ধরনের অকল্যাণ বয়ে আনে।
ফোনের আসক্তি আমাদের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। ফোনের অতিরিক্ত নীল আলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, ফলে শারীরিক কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।
অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, ফলে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তিও হ্রাস পায়।
এছাড়া ফোন থেকে বের হওয়া তরঙ্গ রশ্মি শিশু স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে বলে জানা যায়।
স্মার্টফোনের আসক্তি কমানোর উপায় জানতে আমি ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি নিবন্ধ পড়েছি। আমার পড়া নিবন্ধগুলো থেকে আমি যে কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জেনেছি, সেগুলো এখানে তুলে ধরছি।
প্রথমত, আমরা ফোনের নোটিফিকেশন সীমিত করতে পারি। ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ মোড ব্যবহার করে আমরা অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশনগুলো এড়াতে পারি।
দ্বিতীয়ত, জরুরি কথা বলা ও বার্তা আদান প্রদান ছাড়া অন্য কাজে স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য আমরা যেকোনো একটি নির্দিষ্ট সময় বাছাই করে নিতে পারি।
তৃতীয়ত, সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের সময় সীমিত করতে পারি। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাইমার সেট করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারি।
আমাদের সবারই ফোনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করতে সচেতন হওয়া জরুরি। স্মার্টফোনের ব্যবহার কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে পারলে এটি আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।