খেলাধুলার মাধ্যমে আমি সবার সঙ্গে মিশতে শিখেছি। নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও নিয়মানুবর্তিতার গুণ অর্জন করেছি।
Published : 27 Jun 2024, 01:44 PM
খেলাধুলা করতে কে না ভালোবাসে? আর তা যদি হয় স্কুল মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে তাহলে তার আনন্দ আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু আমি দেখেছি অনেক স্কুলেই এখন খেলার মাঠ নেই।
কিন্তু আমার বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ আছে। এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া বলে মনে হয়। আমি নীলফামারী জেলার জলঢাকা ব্র্যাক শিশু নিকেতন নামের একটি স্কুলে পড়ি। আমার স্কুলের পরিপাটি শ্রেণিকক্ষ, বিস্তৃত মাঠ আমার খুব পছন্দ। এই মাঠে আমরা প্রতিদিন খেলাধুলা ও শরীর চর্চা করি।
সকালে এখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তখন স্কুল মাঠে দাঁড়িয়ে আমরা শরীর চর্চা করি। জাতীয় সংগীত গাই। টিফিনের সময় বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করি। এছাড়া প্রতি বৃহস্পতিবার স্কুলের পক্ষ থেকে মাঠে খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। আমার প্রিয় খেলা দাঁড়িয়াবান্ধা। আমি আমার সহপাঠীদের সঙ্গে প্রায়ই এই খেলাটি খেলি।
স্কুলে আমার বেশ কয়েক জন ভালো বন্ধু আছে। তারা হলো তাসনিম, নুসরাত, দিপা, রাফিদ, রূপম ও ফাহমিদা। তাদের সঙ্গে আমি প্রতিদিন স্কুলের মাঠে খেলি। দাঁড়িয়াবান্ধা ছাড়াও আমরা বউচি, ক্রিকেট ও ফুটবল খেলি।
খেলাধুলা করতে আমার ভালো লাগে কারণ এটি আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখে। খেলাধুলার কারণে মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। খেলাধুলার মাধ্যমে আমি সবার সঙ্গে মিশতে শিখেছি। নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও নিয়মানুবর্তিতার গুণ অর্জন করেছি। এছাড়া খেলার মাঠে গেলে খোলা আকাশ, মুক্ত বাতাস ও সবুজ প্রকৃতির মনোরম সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এসব আমার খুবই ভালো লাগে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১১। জেলা: নীলফামারী।