শিশুদের সঙ্গে এমন সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে যাতে শিশুরা অনলাইনে বুলিংয়ের শিকার হলে, সেটি অভিভাবকদের সঙ্গে সঙ্গে জানাতে পারে।
Published : 15 Feb 2024, 08:28 PM
অনলাইন মাধ্যমে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে পারে। ইউনিসেফের একটি জরিপ বলছে, বাংলাদেশের শতকরা ৩২ ভাগ শিক্ষার্থী সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়।
শিশুদের সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া নিয়ে সচেতন নয় অভিভাবকরাও। ইউনিসেফের আরেকটি জরিপে এমন তথ্য উঠে আসে।
ইউনিসেফের এই জরিপটি বলছে, ইন্টারনেটে অন্যের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হবে এই নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে আলোচনা করেন ৪৬ শতাংশ অভিভাবক। ৩৯ শতাংশ অভিভাবক এই বিষয়ে শিশুদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে আলোচনা করেন। যেখানে ১২ শতাংশ অভিভাবক কখনোই শিশুদের সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা করেনি।
অথচ শিশুরা যখন সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়, তখন তারা নানা ধরনের মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হয়। আমি বিভিন্ন লেখায় পড়েছি, সাইবার বুলিংয়ের শিকার শিশুদের মধ্যে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাইবার বুলিং তাদের ভবিষ্যতকেও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে।
শিশুদের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা ইন্টারনেট থেকে দূরে রাখাও সম্ভব নয়। তাই আমি মনে করি, অভিভাবকদের এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শিশুদের সঙ্গে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে হবে। শিশুদের সঙ্গে এমন সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে যাতে শিশুরা অনলাইনে বুলিংয়ের শিকার হলে, সেটি অভিভাবকদের সঙ্গে সঙ্গে জানাতে পারে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: সিলেট।