যদি জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব রোধ করা যায়, তাহলে কুড়িগ্রামের মানুষ আরও ভালোভাবে বাঁচতে পারবে।
Published : 17 Nov 2024, 08:19 PM
জলবায়ু পরিবর্তনের নানা নেতিবাচক প্রভাব আমরা এখন নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছি। আমার জেলা কুড়িগ্রাম তারই একটি উদাহরণ।
প্রতি বছরই এখানে বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়। টানা বৃষ্টি ও উজানের পানির স্রোতের কারণে শুধু এই বছরই আমাদেরকে একাধিকবার বন্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
বন্যার সময় মানুষের দুর্ভোগ এত বেশি যে তা বলার মতো নয়। অনেকের ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যায়, ফসল নষ্ট হয়ে যায়, আর রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়াও কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন একটি বড় সমস্যা।
এখানে ১০টির বেশি নদ-নদী থাকার কারণে প্রতি বছর নদী ভাঙনে অনেক মানুষের বসতবাড়ি নদীর স্রোতে হারিয়ে যায়। ঘরবাড়ি হারিয়ে মানুষ একদম নিঃস্ব হয়ে পড়ে। এ কারণেই আমার জেলায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি।
দারিদ্র্যের কারণে কুড়িগ্রামে বাল্যবিয়ে ও শিশুশ্রমের মতো সমস্যাগুলোও দেখা যায়। অনেক শিশু পড়াশোনা ছেড়ে কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়। এসব সমস্যার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রয়েছে বলে আমি মনে করি।
আমার বিশ্বাস, যদি জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব রোধ করা যায়, তাহলে কুড়িগ্রামের মানুষ আরও ভালোভাবে বাঁচতে পারবে। তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং শিশুদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: কুড়িগ্রাম।