আবার পণ্যসেবার ক্ষেত্রে আমরা যদি অপচনশীল পলিথিন ব্যবহার না করে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করি তাহলে এটিও আমাদের পরিবেশকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
Published : 14 Nov 2024, 09:55 PM
জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন আমাদের পৃথিবীর জন্য একটি বিরাট সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে এর বিরূপ প্রভাব থেকে বাঁচতে এখনই এগিয়ে আসতে হবে।
যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা, প্লাস্টিক পোড়ানো, নদী ভরাট, জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার ও গাছপালা কাটার মতো আমাদের অনেক খামখেয়ালি কাজ কোনো না কোনোভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ফলে এসব কাজের জন্যও আমাদেরকে মূল্য দিতে হচ্ছে।
পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কাজ পরিহারের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমরা ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি।
যেমন আমাদের ঘরের আশেপাশে কিংবা ছাদে গাছ লাগাতে পারি। গাছ যেহেতু মানুষের ত্যাগ করা কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে সেহেতু এটি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমাতে সাহায্য করবে।
আবার পণ্যসেবার ক্ষেত্রে আমরা যদি অপচনশীল পলিথিন ব্যবহার না করে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করি তাহলে এটিও আমাদের পরিবেশকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
আমরা জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার কমালে গ্রিন হাউজ গ্যাস কম নির্গমন হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এসির ব্যবহার কমালেও পরিবেশ এর সুফল পাবে। এছাড়া আমরা বড় বড় ভবনের দেয়াল কাচ দিয়ে তৈরি করা পরিহার করলেও এটি পরিবেশের জন্য উপকারী হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে আমাদের কিছু কাজ অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। সৌরবিদ্যুৎ বা এনার্জি সেভিং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধি করা। এছাড়া বিনা প্রয়োজনে হিটার, কুলার, এসি ইত্যাদির ব্যবহার না করা।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী ক্রমাগত বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। আমরা সচেতন হয়ে কিছু কাজ অভ্যাসে পরিণত করে পৃথিবীকে একটু হলেও বাঁচাতে পারি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।