আমি যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন নুহাশপল্লীতে তেমন কোনো ভিড় ছিল না। সুনসান নীরবতার মাঝে ঘুরে বেড়িয়েছি পুরো বাগান বাড়ি।
Published : 24 Jun 2024, 03:16 PM
নুহাশপল্লী নামটির সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। এটি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বাগান বাড়ি। যা রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের পিরুজা আলী গ্রামে অবস্থিত।
হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। তার লেখা অনেক বই আমি পড়েছি। নুহাশপল্লীতে বসে তিনি অনেক লেখা লিখেছেন। নাটক ও সিনেমার শ্যুটিং করেছেন। আমার খুব ইচ্ছে ছিল জীবনে একবার হলেও এই স্থানটিতে বেড়াতে যাব।
কিছুদিন আগে নুহাশপল্লীতে যাওয়ার সুযোগ হয় আমার। সেখানে গিয়ে অনেক কিছু দেখেছি।
হুমায়ূন আহমেদের নিজ হাতে রোপণ করা নানা জাতের বৃক্ষে শোভিত নুহাশপল্লী। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই ডান পাশে দেখা মেলে লেখকের ম্যুরাল।
এরপর একে একে চোখে পড়ল ট্রি হাউজ,টিনের চালের ঘর বৃষ্টিবিলাস, পদ্মপুকুর ও লীলাবতী দিঘী। এছাড়া নুহাশপল্লীতে মাটির ঘরেরও দেখা মেলে।
আমি যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন নুহাশপল্লীতে তেমন কোনো ভিড় ছিল না। সুনসান নীরবতার মাঝে ঘুরে বেড়িয়েছি পুরো বাগান বাড়ি। ঘুরতে ঘুরতে এক সময় হুমায়ূন আহমেদের সমাধিস্থলের সামনে এসে পড়ি। লেখকের সমাধিস্থলে আসতেই আমার মন খারাপ হয়ে আসে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: বাগেরহাট।