‘অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসে গাজার শিশুদের আর্তনাদ। তাদের কান্না ও দুর্দশার শত শত ভিডিও ক্ষণিকেই মনকে বিষণ্ন করে ফেলে।’
Published : 15 May 2024, 05:00 PM
ছোটবেলা থেকেই ‘মনুষ্যত্ব’ শব্দটির সঙ্গে পরিচয় ঘটে। পাঠ্যবইতেও এই শব্দটি নিয়ে এতো আলোচনা ছিল যে, মনুষ্যত্ব শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। পৃথিবীর সব জায়গাতেই মনুষ্যত্ব ও মানবিকতার কথা উচ্চারিত হয়।
অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসে গাজার শিশুদের আর্তনাদ। তাদের কান্না ও দুর্দশার শত শত ভিডিও ক্ষণিকেই মনকে বিষণ্ন করে ফেলে।
তাই মনে প্রশ্ন জাগে, যারা নিজের ভেতর মনুষ্যত্ব আছে বলে দাবি করে বা মানবিকতার চর্চা করে বলে জানান দেয় তাদের কাছে কি এই শিশুদের আর্তনাদ পৌঁছায় না?
পৃথিবীর প্রায় ৭০০ কোটি মানুষ কি গাজার শিশুদের রক্ষা করতে পারে না?
দেশে বিদেশে প্রতিদিন কত সভা সেমিনার হয় মানুষের অধিকার ও মানবাধিকার বিষয়ে। দেশে দেশে কত ধরনের দিবস পালিত হয়। এসবের কোনো কিছুই কি এই শিশুদের রক্ষা করতে সক্ষম নয়?
যারা বলে শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তাদেরকে বলি গাজার শিশুরা কি আগামী দিনের কেউ না?
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: শেরপুর।