'নারীদের সম্মান আর অধিকারের কথা বলতে যে দিবসটির প্রচলন হলো তার বীজও নারীরাই বপন করেছিল।'
Published : 07 Mar 2024, 08:56 PM
লিঙ্গ বৈষম্যকে দূর করে নারীর প্রতি সম্মান ও সমান অধিকারের বার্তা জানাতে মার্চ মাসের ৮ তারিখ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়।
নারীদের সম্মান আর অধিকারের কথা বলতে যে দিবসটির প্রচলন হলো তার বীজও নারীরাই বপন করেছিল।
নারী দিবস প্রতিষ্ঠার পেছনে ১৯০৮ সালে আমেরিকায় নারী শ্রমিকদের আন্দোলন অবদান রেখেছে বলে উল্লেখ করা হয় জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।
নারী শ্রমিকেরা কর্মঘণ্টা কমানো এবং মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নিউইয়র্কের রাস্তায় আন্দোলনে নামে। নারী শ্রমিকদের এই আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরের বছর থেকে আমেরিকায় জাতীয়ভাবে নারী দিবস পালনের উদ্যোগ নেয় আমেরিকার সোশালিস্ট পার্টি। সে সময় নারী দিবস পালন করা হতো ফেব্রুয়ারির ২৩ তারিখ।
১৯৭১ সালে রুশ বিল্পবের সময় রাশিয়ার নারীরা তৎকালীন রুশ সম্রাটের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামে। নারীদের আন্দোলনে নামার দিনটি ছিল ৮ই মার্চ। এই আন্দোলনের পরই সম্রাটের পতন ঘটে। রুশ বিপ্লবে নারীদের সম্পৃক্ত হওয়ার দিনটিই পরবর্তীতে নারী দিবসের স্বীকৃতি পায়।
নারী দিবসকে জাতীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক দিবসের মর্যাদা এনে দিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন নারী অধিকারকর্মী ক্লারা জেটকিন।
নারীদের অবদান ও অর্জনকে স্মরণ করার এই দিবসটি ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ থেকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: কুড়িগ্রাম।