শিশুরা কি শুধুই পাঠক? দেখা গেল একেবারে দুই কনিষ্ঠ পাঠক এসে একজন আরেকজনকে স্বরবর্ণ আর ব্যঞ্জনবর্ণও শেখাচ্ছে।
Published : 02 Aug 2023, 11:17 AM
বই পড়তে শিশুরা ছুটে আসছে নেত্রকোণার একটি পাঠাগারে। তীব্র গরমের মাঝেও পাখাবিহীন এই পাঠাগারে শিশু পাঠকের সংখ্যাই বেশি।
বইবন্ধু নামের এই পাঠাগারের অবস্থান নেত্রকোণা জেলা সদরের মৌগাতি ইউনিয়নের নগুয়া কুশলগাঁও গ্রামে।
দুই বছর আগে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করে মোহাম্মদ রাসেল হোসাইন নামের এক শিশু। প্রথমে পাঠাগার ছিল শুধুমাত্র একটা বাক্স। বাক্স থেকে বই বের করে পাশে রাখা বাঁশের বেঞ্চে বসে বই পড়তেন পাঠকরা।
বর্তমানে পাঠাগারটি টিন ও বাঁশ-বেতের তৈরি একটি স্থায়ী ঘরের রূপ পেয়েছে। বইয়ের সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে হাজারের উপরে। পাঠাগারটিকে বইবন্ধু নামকরণ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। পাঠাগারটি দেখে খুশি হয়ে তিনি চেয়ার ও নিজের কিছু বই উপহার দেন।
পাঠাগারে শিশুদের জন্য রয়েছে শিশু কর্ণার। যেখানে রয়েছে শিশু সাহিত্যের রঙ বেরঙের বই।
ফাহিমা নামে এক শিশু হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, "পাঠাগারে আমি বই পড়তে আসি। এখানে অনেক বই আছে। তাই আমি প্রতিদিন আসি।"
শিশুরা কি শুধুই পাঠক? দেখা গেল একেবারে দুই কনিষ্ঠ পাঠক এসে একজন আরেকজনকে স্বরবর্ণ আর ব্যঞ্জনবর্ণও শেখাচ্ছে।
আঁখি আক্তার নামে এক শিশু বলে, "আমি হুমায়ুন আজাদের লাল নীল দীপাবলি বইটা পড়েছি। বইটা থেকে আমি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস জানতে পেরেছি।"
পাঠাগারে আছে বর্ণমালা থেকে শুরু করে ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, অনুবাদ, নাটক, সঙ্গীত, ধর্ম এবং দর্শনসহ নানা বিষয়ের বই ও ম্যাগাজিন।
পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা রাসেল হ্যালোকে বলে, এই পাঠাগারটি শুরুতে শিশু পাঠকদের এতটা আগ্রহের জায়গা হবে আমি ভাবতে পারিনি। শিশুরা যেভাবে আসছে, এখন এটাই পাঠাগারের উল্লেখযোগ্য দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওদের কথা মাথায় রেখে আরো কিছু পরিকল্পনা করেছি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: নেত্রকোণা।