এক নাগাড়ে চলা তাপপ্রবাহে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিনই গণমাধ্যমে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
Published : 29 Apr 2024, 05:36 PM
এই গরমে শিশুদের যত্ন কেমন হওয়া উচিত, তা জানতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইমনুল ইসলাম ইমনের সঙ্গে কথা বলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
ডা. ইমনুল হাসান জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে ছোট বড় সব মানুষের দেহে ‘কোর টেম্পারেচার’ বেড়ে যায়। এতে করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের বিষয়ে মা বাবাকে বেশি যত্নশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, “তাপমাত্রা বাড়ার কারণে শিশুদের শরীর থেকে যে ঘাম ঝরে, সেই ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পর্যাপ্ত লবণও বের হয়ে যায়। ফলে শিশুরা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
“এই গরমে শিশুদের র্যাশ বা ঘামাচি, ঘন ঘন জ্বর ও ডায়রিয়া হতে পারে। এছাড়া হিট ক্র্যাম্প ও হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনাও থাকে।”
জ্বর, র্যাশ ও ঘামাচি থেকে বাঁচতে শিশুদের দিনে একবার গোসল করানো ও দুই বা তিন ঘণ্টা পর পর ভেজা কাপড় দিয়ে হালকা করে গা মুছে দেওয়ার পরামর্শ এই চিকিৎসকের।
তিনি আরও বলেন, “হিট ক্র্যাম্প হলো হাতে-পায়ে এবং পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া। এমন হলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।”
হিটস্ট্রোক শিশুদের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যা উল্লেখ করে এই চিকিৎসক বলেন, হিটস্ট্রোকের ফলে শিশুদের লিভার,কিডনি বা ফুসফুসে প্রভাব পড়ে।
এসব সমস্যা থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখার জন্য অভিভাবকদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “এসব সমস্যা সমাধানে শিশুর অভিভাবকদের কিছু করণীয় রয়েছে। শিশুদের প্রস্রাব ঠিক মতো হচ্ছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের কক্ষ তাপমাত্রার পানিতে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। ফল ও শাকসবজি খাওয়াতে হবে।
“এছাড়া শিশুদের ঢিলে ঢালা পোশাক পরানো উচিত, যেন শরীরে র্যাশ বা ঘামাচি না উঠে। শিশুদের রোদ থেকে দূরে রাখতে হবে এবং ফ্যানের নিচে রাখতে হবে।”
শিশুদের খাবারের বিষয়ে চিনি জাতীয় খাবার পরিহার করতে অভিভাবকদের পরামর্শ দেন তিনি।
ডা. ইমনুল হাসান বলেন, “এই সময়ে আমাদের সকলেরই কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু শিশুরা সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না। এজন্য এ সময়ে মায়েদের শিশুদের প্রতি বেশি যত্নবান হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।